স্কুলের বইতে এখন থেকে কিউআরকোড (কুইক রেস্পন্স কোড) জুড়ে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। কিউআরকোড মোবাইলের মধ্যে স্ক্যান করলেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের নানা সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
কিউআরকোড স্ক্যান করলে কিভাবে পড়াশোনা করতে হবে তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া বিষয় দেখতে তথা জানতে পারবেন পড়ুয়ারা। এছাড়া ই-ক্লাসের লিঙ্কও আপলোড করা থাকবে। কেরালা দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে এই ব্যবস্থা কার্যকর করে। কেন্দ্র উক্ত প্রস্তাব আনার আগেই ওই রাজ্যে এইভাবে পড়াশোনা করানো শুরু হয়ে গেছে। আগামী এক বছরের মধ্যে রাজ্যের বোর্ডগুলিতে এবং সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডের বইগুলিতেও এই পরিষেবা যাতে চালু করা যায়, সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারও এই ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে। বিষয়টি তদারকি করছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মণীশ জৈন।
গত এক বছর ধরে কেন্দ্র দীক্ষা অ্যাপটি চালাচ্ছে। যার মাধ্যমে স্কুল শিক্ষা নিয়ে নানা ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তাদের কাছ থেকেই প্রস্তাব এসেছে, ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলের পাঠ্যবইয়ে এইরকম কিউআরকোড দেওয়া হোক। বিশেষ করে ইংরেজি, অংক এবং বিজ্ঞানের সব ক'টি বিষয় এবং সোশ্যাল সায়েন্সের কয়েকটি বিষয়ে এই পরিষেবা দেওয়া হোক। কেন্দ্রের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিটি অধ্যায়ের জন্য একটি করে কোড থাকলেই ভালো। শুধুমাত্র মোবাইল স্ক্যানারের সামনে ওই কোডটি ধরলেই তার লিংক সক্রিয় হয়ে উঠবে, তারপর সহজভাবেই বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে।
তবে বিকাশ ভবনের এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্য ২০২০ সাল থেকেই কিছু বইয়ে এই কিউআরকোড পরিষেবা চালু হতে পারে। তবে যেহেতু অনেক বই ইতিমধ্যেই ছাপা হয়ে গিয়েছে, তাই পরিষেবাটি আপাতত পাইলট প্রজেক্ট বা পরীক্ষামূলক ভাবেই করা যেতে পারে। তবু ওই ব্যাপারে ওপর মহলের চূড়ান্ত ছাড়পত্র প্রয়োজন।