জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ উপলক্ষে জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন পুঁটিয়ারি ক্লাব সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শ্রী তাপস কুমার সরকার, ক্লাবের সভাপতি শ্রী রজত বসু এবং এই বছরের থিম শিল্পী শ্রী প্রীতম দত্ত। সঞ্চালক ইকেবানার সাথে পুজোর আড্ডা @ জিয়ো বাংলা অনুষ্ঠানে এসে তারা জানালেন তাদের এই পুজো এইবছর পদার্পন করলো ৭২ তম বছরে। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য বেশ সহজবোধ্য থিম দিয়েই মণ্ডপসজ্জা করতে চলেছেন শিল্পী। তিনি জানালেন, থিম নাম দেয় হয়েছে 'মূক যখন মুখ'। শিল্পী জানালেন, যেইসব বাঁশ দিয়ে বাঁশি তৈরী করা যায় না বলা হয় সেই বাঁশগুলি বোবা। এই ভাবনা নিয়েই বাঁশ ও বাঁশজাত জিনিস দিয়ে মণ্ডপসজ্জা করছেন শিল্পী।
মণ্ডপের সাজসজ্জার মূল উপকরণ বাঁশ হলেও প্রতিমা সাবেকি অর্থাৎ মাটিরই হবে, স্পষ্ট কথা ক্লাব সদস্যদের। উদ্বোধনের দিন এখনো ঠিক না হলেও জানা গেছে, সমাজের উচ্চপদস্থ মানুষদের দিয়ে উদ্বোধনের পাশাপাশি নিম্নশ্রেণীর মানুষদের হাত দিয়েও উদ্বোধন করা হয় এই ক্লাবের পুজোর। পুজোর সময় প্রতিদিন ঘরোয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকছে বলেই জানা গেছে। পুজো ছাড়া যে সব সামাজিক কাজ এই ক্লাবের পক্ষ থেকে করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হল, অনাথ আশ্রমের শিশুদের নিয়ে কলকাতায় পুজো পরিক্রমার আয়োজন করা হয় ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। কলকাতা পুলিশের গাইডলাইন অনুযায়ী দর্শনার্থীদের জন্য এন্ট্রি ও এক্সিট গেট আলাদা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ক্লাবের সদস্যবৃন্দ। এছাড়াও বাঁশজাত দ্রব্য দিয়ে মণ্ডপ তৈরীর কারণে প্রতিটি জিনিসকে আগে থেকে ফায়ার প্রুফ করে তবেই কাজ শুরু করা হয়েছে। জানা গেছে, ভিআইপিদের জন্য আলাদা কোনো গেটের ব্যবস্থা না থাকলেও বয়স্ক মানুষ, বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ এবং স্কুলের শিশুদের জন্য আলাদা গেটের ব্যবস্থা থাকছে। বাঁশদের কথা শুনতে চাইলে এই মণ্ডপটিতে অবশ্যই পৌঁছে যেতে হবে। এই মণ্ডপটিতে পৌঁছাতে গেলে নোয়াপাড়া কিংবা কবিসুভাষগামী মেট্রো করে এসে নামতে হবে নেতাজি মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে যদুনাথ উকিল রোড ধরে মিনিট ৫ হাঁটলেই পড়বে ব্যানার্জীপাড়া। সেখান থেকে কিছুক্ষনের রাস্তা এই মণ্ডপটি।