বাদ্যযন্ত্র জগতের বিস্ময় ২৫ তারের পুষ্পবীনা

গান বা মিষ্টি সুর শুনতে কে না পছন্দ করে! আর বেশ কিছুদিন ধরেই মানুষের ভালো থাকার মাধ্যম গুলো পাল্টে গেছে  আর তাতেই সে ভালো থাকতেও ভুলে গেছে।  না – না, আপেক্ষিক ভালো তো সবাই আছে, কিন্তু শান্তির অভাব ঘটেই চলেছে। তার জন্য অবশ্যই দায়ী আমাদের দৈনন্দিন জীবনের লক্ষ্য পূরণ আর তার খানিক সমাধানে এখন খুব প্রচলিত বিষয় মিউজিক থেরাপি গোটা বিশ্বে শান্তির খোঁজে যার চাহিদা ক্রমে প্রকট হচ্ছে বৈকি! আর তাতে আপনি গান শুনুন বা যন্ত্রের সুর শুনুন, মানসিক শান্তির, স্থিতির অভাব হবে না। এই যন্ত্রের মধ্যেই আছে কত না বৈচিত্র। কত দেশ, তার কত না যন্ত্র আবার তার বিভিন্ন সুর। সাধারণ জ্ঞান বলে একটা যন্ত্রে একটি সুর বাজে, কিন্তু এত অভিনবত্বের মাঝে  যন্ত্রই বা বাদ যায় কেন! পরীক্ষামূলক ভাবে কত অত্যাধুনিক যন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছে, থুড়ি হয়ে চলেছে। আর এইবার এক অভিনব যন্ত্রের আবিষ্কার করে শিরোনামে এলেন স্বয়ং এক বাঙালি সেই কথাই জানাবো। 

                 যার কথা বলছি তিনি শাস্ত্রীয় বাদ্যজগতের এক পরিচিত নাম পন্ডিত দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য। তাঁর আবিষ্কৃত এই বাদ্যযন্ত্রে শোনা যাবে ৬টি দেশের, ৬ ধরণের বাদ্যযন্ত্রের সুর। মূলত স্লাইডিং গিটারের উপর এই পরীক্ষামূলকভাবে বিষয়টি করেছেন তিনি। নাম দিয়েছেন পুষ্প বীণা দীর্ঘ ১৮ মাসের গবেষণালব্ধ ফল   বাদ্যযন্রের জগতের এই বিস্ময় মূলত আমেরিকার ব্যাঞ্জো, মধ্যপ্রাচ্যের -আয়ূধ, আফগানিস্তানের রাবাব, ভারতের  সরোদ, চীনের গুনজং, জাপানের সামিসন- ৬টি দেশের, ৬ধরণের তারের মূর্ছনা শোনা যাবে এই পুষ্প বীণায়। এর আগে নানা আবিষ্কার হলেও ২৫ তারের এই যন্ত্র বিশ্বে প্রথম                                                     

               কিন্তু হঠাৎ এমন আবিষ্কার হয়েছে তা নয়।  দীর্ঘদিন ধরে নানা দেশের যন্ত্র  প্রত্যক্ষ করে তার সুর আত্মস্থ করেই এই আবিষ্কার। যদিও একাজে তার সহযোগী ছিলেন আমেরিকার খ্যাতনামা কবি, দার্শনিক টিফানি চীন যন্ত্রের আকার ও তার কাঠামো নির্মাণে সময় লাগে ৩ মাস যদিও পেটেন্ট আগেই তৈরী ছিল। ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতনে কবিগুরুর দর্শনে  গিয়ে তাঁর সাক্ষাৎ  ঘটে  আর এক কাঠের শিল্পী মনোজ মন্ডলের সাথে। ব্যাস, তারপর এই যন্ত্রের আবিষ্কার। তবে যন্ত্রাবিষ্কারের নেশা হঠাৎ নয় তাঁর। এর আগেও বানিয়েছেন তারের আনন্দী, ১৪ তারের গান্ধর্বী, ২২ তারের চতুরঙ্গী, আর এখন ২৫ তারের পুষ্প বীনা। ভারত ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির মেলবন্ধনের এই যন্ত্র। এখন এই যন্ত্রে ঠিক কেমন সুর মুর্ছনার সৃষ্টি হয় তা শোনার জন্যই সংগীতপ্রেমীরা কিন্তু তৈরী। জীবনের ডেবিট ক্রেডিটের ছক ভেঙে আরো খানিক শান্তির খোঁজে এই যন্ত্রের সুর কিছুটা এগিয়ে দেবে  এমন আশা করে যায় ।

                                                                                    

                                                                                    

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...