কৃষি না শিল্প – এই বিবাদ চিরদিনের। কিন্তু একথা সত্য যে এই দুইটি হল একটি বড় সভ্যতার দুই ফুসফুস। আর এই দুইয়ের সংযোগকারী হিসেবে কাজ করে কুটির শিল্প। একদিকে তা যেমন কৃষির কাজেও ব্যবহৃত হয়, অন্যদিকে শিল্পের দিক থেকে একটি বড় আর্থিক যোগানের ব্যবস্থা করে এই শিল্প। আর সেই কুটির শিল্পকে নিজেদের দূর্গাপুজোর থিম হিসেবে এই বছর তুলে ধরতে চলেছে পূর্বাঞ্চল প্রভাতী সংঘ।‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় উপস্থিত ছিল পূর্বাঞ্চল প্রভাতী সংঘ। জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে সঞ্চালক মৌমিতার সাথে পুজোর আড্ডায় মাতলেন ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ তন্ময় দাশগুপ্ত, সম্পাদক মৃণাল মুখার্জি ও যুগ্ম-সম্পাদক শমীক দোলুই।
আজকের দিনে এই ভারী শিল্পের দৌরাত্ম্যে কুটির শিল্প যে কতটা জরুরি তাই নিজেদের পূজামন্ডপে তুলে ধরার অঙ্গীকার নিয়েছেন পূর্বাঞ্চল প্রভাতী সংঘের সদস্যরা। নিজেদের পুজোর ৫৪তম বর্ষে থিমের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করতে এগিয়ে থাকলেও শুরু দিকে তা ছিল না, বরং কয়েক বছর আগে অবধি সাবেকিয়ানায় পরিপূর্ণ ছিল তাদের পুজো। তবে বিশিষ্ট প্রতিমা শিল্পী মোহনবাঁশি রুদ্রপাল-এর তত্ত্বাবধানে মায়ের মূর্তি হতে চলেছে সাবেকি।এই বছর তৃতীয়াতে পূর্বাঞ্চল প্রভাতী সংঘের পুজোর উদ্বোধন হবে। উদ্বোধনের দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যেমন মাতোয়ারা থাকবে গোটা পাড়া, তেমনই এলাকার দুঃস্থ মানুষদের বস্ত্র বিতরণ করে মানবিকতারও পরিচয় রাখবেন তারা। আর দ্বাদশীতে সিঁদুরখেলা ও মা দূর্গাকে বরণ করে নেওয়ার মাধ্যমে বিসর্জনের পালাগান বাজবে।
নবমীতে বিরাট ভোগের আয়োজন করতে চলেছে তারা। পোলাও, আলুরদম, বেগুনভাজা, চাটনি, দই, দরবেশ – একেবারে পরিপাটি খাওয়াদাওয়ার আয়োজন রয়েছে সন্ধিপুজোর দিন। আর এই সুযোগ কেবলমাত্র পাড়ার লোকেদের জন্যই নয়, নানা জায়গা থেকে আসা দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে এই ভোগ। সুতরাং নবমীতে আসতেই হবে এখানে তা বলা বাহুল্য।কিন্তু কিভাবে আসবেন এখানে? ভাবছেন নিশ্চই। কোনও চিন্তা নেই। দমদম কিংবা কবি সুভাষগামী কোনও মেট্রোয় উঠে নামবেন রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে হলদিরামের ফুটে গিয়ে তপসিয়া যাওয়ার কোনও বাস ধরে নামবেন তপসিয়া মোড়ে। সেখান থেকে কিছুটা হাটলেই পৌছে যাবেন পূর্বাঞ্চল প্রভাতী সংঘের পূজামন্ডপে।