‘মা’ – এই শব্দটি প্রতিটি মানুষের কাছে কতটা প্রিয় আর কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অবকাশ রাখে না। পৃথিবীতে একমাত্র মা-ই তার সন্তানকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি মূল্যবান মনে করে। আর মাতৃশক্তির জোর কতটা তা আর বলার অপেক্ষাই রাখে না। পৃথিবীতে কোনও শক্তি যদি অপরাজেয় থাকে তাহলে সেটি অবিসংবাদিতভাবে মাতৃশক্তি। আর এই বছর মায়ের শক্তিকে থিমের মাধ্যমে তুলে ধরতে চলেছে পূর্বাচল জাগরী সংঘ।‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিল পূর্বাচল জাগরী সংঘের সদস্যরা। সঞ্চালক মৌমিতার সাথে পুজোর আড্ডায় হাজির ছিলেন ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিশ্ব ভট্টাচার্য ও ক্লাবের পুজোর থিম মেকার পিন্টু মোল্লা।
এইবছর নিজেদের পুজোর ৪০তম বার্ষিকীতে মাতৃশক্তির আরাধনাকে তুলে ধরতে চলেছে পূর্বাচল জাগরী সংঘ। আর এবার তাদের মন্ডপ সজ্জিত হবে ডোকরা দিয়ে। বাঁকুড়ার প্রাচীন ধাতু হিসেবে এই ডোকরা দীর্ঘকাল পিতলের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে এসেছে। কিন্তু এই মন্ডপে এই ডোকরাকে রবারে পরিণত করেছে থিম মেকার পিন্টু মোল্লা। এর আগে সাবেকিয়ানায় পুজো করলেও বিভিন্ন শারদ সম্মানের প্রতিযোগীতায় যাতে পিছিয়ে না পড়ে, তাই কয়েকবছর ধরে থিমের আধুনিকতায় প্রবেশ করেছে তারা। যদিও মাতৃমূর্তি এবছরও থাকতে চলেছে সাবেকি রুপে।এইবছর তৃতীয়ায় উদ্বোধন হবে এই ক্লাবের পুজোর। কিন্তু ভোগ কবে হয়? এই বিষয়ে নতুনত্ব এনেছে পূর্বাচল জাগরী সংঘ। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত উপস্থিত সকল দর্শনার্থীদের কাছে ভোগ বিতরণ চলতে থাকে। আর অষ্টমীতে অন্যান্যবারের মত এবারেও আয়োজিত হবে কুইজ কম্পিটিশনের। দুর-দুরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরাও অংশ নিতে পারবে এই কুইজে। এবারের কুইজের বিষয় ‘ডোকরা’ শিল্প।
এছাড়া বিসর্জনেও নতুনত্বের ছোঁয়া রয়েছে এই পুজো কমিটির। শোভাযাত্রা না করে দশমীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে পরে পাড়ার একটি পুকুরে মায়ের মূর্তিকে বিসর্জন দেওয়া হয়ে থাকে, এবছরও তার অন্যথা হবে না।এবার এটাই প্রশ্ন যে পূর্বাচল জাগরী সংঘের পুজো দেখতে যাবেন কি করে? খুব সোজা। যাদবপুর থানা থেকে কালিকাপুর-অভিষিক্তা যাওয়ার বাস ধরে নামবেন পূর্বাচল জাগরী সংঘ স্টপেজে। নেমে ২ মিনিট হাটলেই পেয়ে যাবেন তাদের পূজামন্ডপ। এছাড়া যারা রুবি থেকে আসবেন তারা প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোড কানেক্টর এর বাস ধরে নামবেন পূর্বাচল জাগরী সংঘ স্টপেজে।