হরিয়ানার অতি সাধারণ এক গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপ। সন্দীপ কুমার। ওই গ্রামেই তিনি দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। তার পর চলে যান চণ্ডীগড়ে। ব্যাচেলর ডিগ্রি পাশ করে ভিওয়ানি এলাকার একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিশুদের পড়ানোর দায়িত্ব নেন তিনি। সেখানে গরিব শিশুদের পড়ানোর দায়িত্বও নেন।
৩ বছর ধরে দরজায় দরজায় ঘুরে বই সংগ্রহ করাই হয়ে উঠেছে তাঁর পেশা। তারপর সেই বইগুলিকে ছড়িয়ে দেওয়া গরিব শিশুদের মধ্যে। শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে এমন অভিনব পন্থাই বেছেছেন তিনি। “রাড্ডি দে শিক্ষা” নামের এমন অভিনব উদ্যোগ চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা সন্দীপের। তাঁর প্রতিষ্ঠিত এনজিও-র নাম ‘ওপেন আই ফাউন্ডেশন’। এমন ভাবেই তিনি প্রায় শতাধিক স্কুলকে ১০ হাজার বই বিতরণ করে সাহায্য করেছেন।
“নানা পরিস্থিতি দেখে ‘মুক্ত শিক্ষা’-র আইডিয়াটি আসে মাথায়। আমার ছাত্ররা পড়া শুনত। কিন্তু কোনও নোট লিখতে পারত না। কারণ, তাঁদের কোনও খাতা-বই ছিল না। বইপত্রের অভাবে অন্যান্য ছাত্রদের থেকে পিছিয়ে পড়ছিল বাকিরা।” বলেন সন্দীপ। সেখান থেকেই বই বিতরণের ভাবনা আসে মাথায়। কর্পোরেট সংস্থা-সহ অন্যান্য সংস্থার কাছেও অর্থ সাহায্যের আবেদন জানায় ‘ওপেন আই ফাউন্ডেশন’। এমন আরও নানা সহায়তামূলক কাজেও হাত বাড়ান তাঁরা।
সন্দীপের স্থির বিশ্বাস, সকলে যদি এভাবেই এগিয়ে আসে, তবে, অন্য রকম হতে পারে চারপাশ। স্বপ্নময় হতে পারে আগামী।