কথায় আছে চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ো ধরা। না ধরা সে পড়েনি সে খালি মাংস চুরি করতে গিয়ে ঝোলের কন্টেনারে পড়ে গেছিলো। একেবারে চিকেন টিক্কা মশলার মধ্যে পড়েছে চোর বাছাধন। না, শরীরে একটুও ব্যথা লাগেনি সেই চোরের। শরীরের কোনো অংশ পুড়েও যায়নি। শুধু সারা গা হলুদ হয়ে গেছে। ঝোলের রং গায়ে মেখেই ক্ষান্ত দিতে হয়েছে তাকে। এই রং আবার ওঠানো অত সহজ নয়।কারণ সাদা রঙের পালকগুলো একেবারে ঝোলে মাখামাখি হয়ে গেছে যে।
সম্প্রতি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি হলুদ রঙের বিশালাকার পাখির ছবি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি করার সাথে সাথেই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। লাইক, কমেন্ট আর শেয়ারে পাখিটি মুহূর্তের মধ্যেই হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ার চোখের মনি। পোস্ট হওয়ার সাথে সাথে নানা গল্প তৈরী হতে শুরু করে পাখিটির হলুদ রঙ নিয়ে।উপরোক্ত গল্পটিও এই পাখিটিকে নিয়েই করা। এক এক জায়গায় পাখিটিকে নিয়ে এক এক ধরণের কথা উঠতে শুরু করে। সেখানেই বলা হয়, মাংস চুরি করার সময় গ্রেভির মধ্যে পড়ে যায় পাখিটি। অন্য এক জায়গায় বলা হয়, একদল যুবক গাছের নিচ থেকে হলুদ রঙের এই বিশালাকার পাখিটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় নিকটবর্তী পশু হাসপাতালে। তারা পাখিটির অবস্থা দেখে পাখিটির প্রজাতি শনাক্ত করতে পারেনি।তারা মনে করে তারা হয়তো কোনো নতুন প্রজাতির পাখি আবিষ্কার করেছে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করার পর যেখান যায় সেটি আসলে এটি খুব খুব সাধারণ প্রজাতির একটি পাখি।নাম তার সি গাল।বাংলার শঙ্খচিলের মতো দেখতে এই পাখিটি বাইরের দেশে সি গাল নাম পরিচিত। অবশেষে আশাহত হতে হয় সেই যুবকদলকে।
অন্য একটি গল্পে বলা হয়, একটি সি গাল একটি ফুড ফ্যাক্টরির পাশে থাকা ভ্যাটের থেকে মাংসের ঝোলের মধ্যে পড়ে যায় এবং তার ফলে তার রং হয়ে যায় ডিপ হলুদ বা হালকা কমলা। জানা গেছে, একটি খাবার তৈরির ফ্যাক্টরির একটি কন্টেনার থেকে মাংস চুরি করতে গিয়েই অন্য একটি কন্টেনারে থাকা ঝোলের মধ্যে পড়ে যায়। তাকে ভলেন্টিয়ারের সাহায্যে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার গা থেকে অনেক কষ্টের পর দূর করা যায় সেই ঝোলের রং। হাসপাতাল সূত্রের খবর, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ফলে তার ধবধবে সাদা পালক থেকে ঝোলের রং দূর করা গেলেও ঝোলের স্মেল দূর করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। পাখিটিকে উদ্ধার জানান, ফুড ফ্যাক্টরির পাশে থাকা একটি ভ্যাট থেকে মাংস চুরি করতে গেছিলো এই পাখি। তখনই কোনোভাবে বেসামাল হয়ে ভ্যাটেই পড়ে যায়। সেখান থেকেই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় কিছু ভলেন্টিয়ার।
পাখিটিকে নিয়ে দু দুটি গল্প সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ঘুরে বেড়ালেও পাখিটির তাতে অবশ্য কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তার গা দিয়ে যে এখন চিকেন টিক্কা মশলার গন্ধ বেরোচ্ছে। সেই নিয়েই মেতে রয়েছে সেই পাখি। হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে দুর্বল হওয়ার কারণে এই পাখিকে কিছুদিন হাসপাতালে রেখে তারপর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।