পুজোর মুখে বৃষ্টি। মহালয়া থেকেই বৃষ্টির ভ্রুকুটি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর আবার বৃষ্টি হতে পারে পুজোর মধ্যে। তাই শহরবাসী আগেভাগেই নেমে পড়েছে পুজোর আমেজ নিতে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সমস্ত মন্ডপ তো মহালয়া বা প্রথমা কিংবা দ্বিতীয়াতে পুজো উদ্বোধন করেনা। তাই অনেকে মায়ের মুখদর্শন করতে পারছেননা।
সেই কারনে উৎসাহের পারদে কিন্তু ভাঁটা পড়েনি এতটুকুও। মহালয়ার পর থেকেই শহরের রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছে। ষষ্ঠী পর্যন্ত কেউ অপেক্ষা করতে চাইছেন না। বৃষ্টিকে ডোন্টকেয়ার করে বেরিয়ে পড়েছেন প্রতিমা দর্শনের উদ্দেশ্যে। বিভিন্ন মন্ডপে জনজোয়ার দেখে মনে হওয়ার উপায় নেই দিনটা চতুর্থী, না সপ্তমী বা নবমী। পঞ্চমীর দিন তো মহাষ্টমীর মত ভিড়। তবে অনেকেই আবার শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা সেরে ফেলছেন। গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, নিউমার্কেট চত্বর তাই ভিড়ে ঠাসা। চারদিকে শুরু হয়ে গেছে পুজোর আমেজ। রাস্তায় নেমে পড়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ, যাতে দর্শনার্থীদের অসুবিধের মধ্যে না পড়তে হয়।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণের তুলনায় চতুর্থী এবং পঞ্চমীতে ভিড় বেশি ছিল উত্তরের মন্ডপগুলিতে। তাই ভিআইপি রোডের বিমানবন্দরমুখী লেনে যথেষ্ট যানজটের সৃষ্টি হয়। উল্টোডাঙায় ছিল লম্বা গাড়ির লাইন। তবে গাড়ির জ্যাম ছিল রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, শরৎ বোস রোড, গড়িয়াহাট রোড, চেতলা সেন্ট্রাল রোড সহ দক্ষিণের বিভিন্ন রাস্তায়। টালা সেতু বন্ধ থাকলেও টালা বারোয়ারি, টালা পার্ক প্রত্যয়ের মতো পুজোগুলিতে পৌঁছতে দর্শকদের উৎসাহে কোনও খামতি ছিলনা। তাছাড়া প্লাস্টিক বন্ধ করার যে নীতি কেন্দ্রীয় সরকার গ্রহণ করেছে, তা নিয়েও ভাবছে কলকাতা পুরসভা। পঞ্চমীর সকাল থেকেই বিশেষভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাফাই শুরু হয়ে গেছে।