পড়ানো যখন পেশা হয়, তখন শুধুমাত্র কর্তব্যের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ থাকেনা। তাতে যোগ হয়- নিয়মানুবর্তিতা, দায়বদ্ধতা, ধৈর্য্যশীল মানসিকতা, বিশেষ করে বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। এই চারটি বিষয় আমাদের মধ্যে একেবারে কম বয়সে খুব একটা থাকেনা। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ বাদে আমরা কম বয়সে জীবন উপভোগ করাতেই বেশি নজর দিই। পেশা তা সে যে কোনো পেশাই হোক না কেন, এখন শুধুমাত্র টাকাপয়সার লেন-দেনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। পেশায় দায়বদ্ধতা অনুভব করার লোক কমে আসছে। তাই যত দিন যায় আমরা পরিণত হই এবং আমাদের মধ্যে স্থিতিশীলতা বাড়তে থাকে। অন্য কোনো পেশায় দায়বদ্ধতা তেমনভাবে প্রভাব না ফেললেও প্রশ্ন যখন শিক্ষার ক্ষেত্র, তখন তা হয় বই কি।
এমনটাই চিন্তা-ভাবনা করে রাজ্য সরকার অধ্যাপকদের অবসরের বয়সসীমা ৬২ থেকে ৬৫ বছর বাড়িয়ে দিল। সোমবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী একথা ঘোষণা করেছেন। উপাচার্যদের ক্ষেত্রে অবসরের বয়সসীমা হচ্ছে ৭০। প্রসঙ্গত ২০০৬ সালে ইউজিসি-র সুপারিশ মেনে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, প্রত্যেক রাজ্যকে এই অবসরের নিয়ম মানতে হবে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, যেসব কাজের মূল ভিত্তি চিন্তা-ভাবনা, সেখানে ভাবনা এবং অভিজ্ঞতা পরিণত হলে আরো ভালো কাজ হয়। এ প্রসংঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, কয়েক হাজার স্কুলের পাশাপাশি আরো ১১টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী হবে। ফলে বেকার যুবক-যুবতীরাও প্রচুর পরিমানে চাকরি পাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় খুশি সব মহল। কিন্তু নতুন প্রজন্মের যুবক-যুবতীরা যাতে কাজ পান সেই দিকটাও নজরে রাখার কথা সকলে বলেছেন। এইভাবেই দেখা যাচ্ছে, রাজ্য সরকার সমাজের সব স্তরকেই খুশি রাখার চেষ্টা করছে।