ভারতীয়দের বিশেষত মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতা বা আয়রনের অভাবে ভোগার সমস্যা খুব বেশি দেখা যায়।
মানুষের রক্তের লোহিত কণিকা তৈরি হয় এই আয়রন থেকে। তাই দেহে আয়রনের অভাব দেখা দিলে লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি হবে না। এছাড়াও মস্তিষ্কের স্নায়ুর বিকাশের জন্য আয়রন খুব প্রয়োজনীয়। তাই দেহে আয়রনের অভাবে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- শারীরিক দূর্বলতা, মনযোগ দেওয়ার ক্ষমতা কমে যাওয়া, মাংসপেশিতে ব্যথা, মাথা ব্যথা, স্মরণশক্তির ঘাটতি, রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, চুল পড়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, বুক ভার হয়ে থাকার সমস্যাও দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত আয়রন জাতীয় খাবার না খাওয়ার ফলেই এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তবে দীর্ঘ দিন ব্যথার ওষুধ, রক্ত পাতলা করবার ওষুধ, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়ার ফলে ও কৃমি সংক্রমণের ফলেও দেহে আয়রনের দেখা যায়।
বেশ কিছু খাবার রয়েছে যাতে আয়রন রয়েছে। যেমন- মাছ, মাংস, শাক-সবজির মধ্যে পালংশাক, কুমড়ো বীজ, ব্রকলি, ড্রাই ফ্রুট, অ্যাপ্রিকট, বাদাম, ডালিম, কলা, আপেল জাতীয় খাবার। তাই দেহের আয়রনের ঘাটতি মেটাতে এই সব খাবার খেতে হবে। এছাড়াও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়াও আয়রন ক্যাপসুল ও ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। যদি সেটা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরেই খেতে হবে।
কিন্তু আয়রনের অভাব দেখা দিলে সয়াবিন ও সূর্যমুখীর বীজ থেকে তৈরি তেল খাওয়া কমাতে হবে। তাহলেই দেহে আয়রনের মাত্রা বজায় থাকবে।