সারা বিশ্বেই ভারতীয় মেধা তাদের নিজস্ব পরিচয় তুলে ধরছে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্যের প্রমাণ দিচ্ছে, তা সে দেশেই হোক অথবা বিদেশে। তারই আরও একটা নজির সৃষ্টি হল আবারও। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের শীর্ষ দলে হোম সেক্রেটারির মত গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব নিলেন ব্রিটেনে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি পটেল। ইঙ্গিত একটা ছিলই। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের চারপাশে এই কনজারভেটিভ নেত্রীকে নিয়ে আলোচনা চলছিল জোর কদমে। ইনি থেরেসা মে-র ব্রেক্সিট নীতির কঠোর সমালোচক।
বরিস জনসন আসার পর বাকিংহাম প্যালেস থেকে পদত্যাগ করেছেন ১২ জন মন্ত্রী। তার মধ্যে থেরেসা মে-ও রয়েছেন। কনজারভেটিভ দলের ভেতরে একটা আন্দাজ ছিলই, যে বরিস এসে নতুন করে ক্যাবিনেট সাজাতে পারেন। সেটাই সত্যি হল। তাঁর নিজস্ব ক্যাম্পেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ প্রীতি প্যাটেলের তাই গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়াটা মোটেও আশ্চর্যজনক কিছু নয়। ওই দেশের রাজনীতিতে প্রীতি মোটেও নতুন মুখ নন। বরং এটাই জনশ্রুতি, ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদের জায়গায় এসেছেন তিনি। সাজিদ গিয়েছেন ট্রেজারি দফতরে।
২০১০ সালে প্রথমবার কনজারভেটিভ সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন ৪৭ বছরের প্রীতি। তৎকালীন ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন সরকারের তিনি সকলের নজর কাড়েন। একটা সময়ে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দফতর সহ বিদেশ সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দফতরের ভার ছিল তাঁর ওপর। ব্রিটিশ বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীও হয়েছিলেন প্রীতি।
প্রীতির পরিবার ষাটের দশকে ইংল্যান্ডে আসে। তাঁরা ছিলেন মূলত গুজরাটের বাসিন্দা। ২০১৩ সালে ক্যামেরনের ভারত সফরে প্রীতি এসেছিলেন তাঁর সফরসঙ্গী হয়ে। এমনকি আমাদের শহরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের সময় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের কিছু কিছু মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। ফলে এশীয়দের ভোট সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রীতি বরাবরই ছিলেন 'এক্স ফ্যাক্টর'।
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দফতরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে প্রীতি জানান, নিজের দেশকে নিরাপদ ও নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখতে এবং অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তাঁর নিজের ক্ষমতার পূর্ণ প্রয়োগ করবেন তিনি। তিনি আরও জানান, মন্ত্রিসভা আধুনিক ব্রিটেন, আধুনিক কনজারভেটিভ পার্টির প্রতিনিধিত্ব করুক, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
I am deeply honoured to be appointed as Home Secretary by our new Prime Minister @borisjohnson. Looking forward to working @ukhomeoffice to prepare our Country for leaving the EU, leading on matters of national security & public safety & keeping our borders secure.
— Priti Patel MP (@patel4witham) July 24, 2019