এবার ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিল। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে রাজ্যের পড়ুয়াদের অগ্রাধিকার বা সংরক্ষণ দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিল ফ্যাকাল্টির অধিকাংশ বিভাগই। আর তারই ভিত্তিতে ঠিক হয় যে, ৯০ শতাংশ আসন রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া বাকি ১০ শতাংশ আসন থাকেবে ভিন রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য। এই প্রস্তাবটিকে নীতিগতভাবে সমর্থন করেছে ইসি। তবে পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে একাংশ প্রথমে তা মানতে চায়নি। এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি বলে অভিযোগ করে তারা। জানা গিয়েছে যে, এ নিয়ে ইসি’র সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে যান কিছু পড়ুয়া।
উক্ত সংরক্ষণের বিষয়টি লাগু হবে কি না, তা পুরোপুরি নির্ভর করবে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের উপর। জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ১৬টি বিভাগের মধ্যে ১৩টি বিভাগই রাজ্যের পড়ুয়াদের আসন সংরক্ষণের পক্ষে মত দিয়েছিল। দু’টি বিভাগ চায়নি যে এই ধরনের কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হোক। একটি বিভাগের অধ্যাপকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছিল। যার ফলে সেই বিভাগের মত ও ‘না’ হিসেবেই ধরা হয়েছিল। তবুও সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশ হয়ে যায় সংরক্ষণের ব্যাপারটি। ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ম মতো ইসি’তে পেশ করা হয়। সদ্যসরা সর্বসম্মতভাবে বিষয়টিকে সমর্থন ও করেন। তবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে রাজ্যের পড়ুয়ারাই প্রাধান্য পাক তা বিশ্ববিদ্যালয় চাইছে। তবে এবার উক্ত প্রস্তাবটি উচ্চ শিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হবে। তাদের কাছে থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলেই আগামী শিক্ষাবর্ষেই এই নয়া ভর্তির নিয়ম চালু হয়ে যেতে পারে বলে আভাস মিলেছে। জানা গিয়েছে ওই দিন ইসি’তে এই সংরক্ষণ ব্যাপারটি নিয়ে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কেন এই ধরনের ব্যবস্থা নিতে চাইছে তা পড়ুয়াদের কাছে তুলে ধরতে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা যায়।