চাতকের মত তার আশায় মুখ চেয়ে বসে আছে শহরবাসী। ভাবছেন তো কার? এ সময় ‘ইলিশ’ ছাড়া আর কার কথাই বা ভাবতে পারে বাঙালি! বাজারে দেখা মিললেও এতদিন তার দর ছিল আগুন, মধ্যবিত্তের পাতে তাই অধরাই থেকে গিয়েছিল জলের রূপোলি শস্য। ‘পকেট ফ্রেন্ডলি’ ইলিশের আশাতেই মুখ চেয়ে বসে ছিল মৎসপ্রিয় বাঙালি। সম্প্রতি জেলার বাজারে প্রচুর ইলিশের আমদানি হওয়ায় এক ধাক্কায় অনেকটাই দর কমল ইলিশের।
এক মৎসব্যবসায়ীর কথায়, দিঘা-সহ সমুদ্রের উপকূলবর্তী এলাকায় গত দু’দিনে অন্তত ২০ টন ইলিশ ধরা পড়েছে। ইলিশেরই ব্যাপক আমদানি হয়েছে জেলার বিভিন্ন বাজারে। তবে সেই সব ইলিশ ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের বেশি নয়। ছোট ইলিশের দাম কমেছে প্রায় ৩০০ টাকা।’
এতদিন বাজারে মিলছিল ছোট থেকে মাঝারি মাপের ইলিশ। একচেটিয়া ব্যবসা করেছে 'খোকা' ইলিশ ব্যবসায়ীরাও। আগে যে পরিমান ইলিশ গঙ্গার বিভিন্ন অববাহিকায় ধরা পড়ত, বিগত কয়েক বছর ধরে সেখানেও দেখা নেই ইলিশের। ইলিশের এহেন বাজারের পিছনে এটি একটি অন্যতম কারণ। তবে খবর মিলেছে দীঘার সঙ্গে বাংলাদেশেও এখন প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। গত ৬৫ দিন ধরে সে দেশে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল ইলিশ ধরায়। গত ২৩ জুলাই সেই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পেরিয়েছে। ফলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পদ্মার ইলিশও আসতে শুরু করবে বাজারে। পুজোর মুখে জোগানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে ইলিশের চাহিদা, এমনটাই মনে করছেন মৎসব্যবসায়ীরা।