কলকাতার ভূয়সী প্রশংসা করলেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। কলকাতায় এই নিয়ে দুবার পা রাখলেন তিনি। গার্ডেনরিচে ভারতীয় নৌবাহিনীর রণতরী ভাসানো অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি। রণতরীটির নাম ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এছাড়া ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সৌরভ গাঙ্গুলী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় ভাট,আর হরিকুমার, পি আর হরি-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতিকে। সৌজন্য বিনিময়ের পর তাঁরা অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে চলে যান। এদিন সকালে কলকাতার বিশিষ্ট মহানাগরিক মেয়র ফিরহাদ হলুদ গোলাপ নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে এয়ারপোর্টে অভ্যর্থনা জানাতে যান।
অর্থনীতির সার্বিক বিকাশ এবং জলসীমা মজবুত করতে নৌশক্তি প্রসারের ওপর জোর দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি বলেন, এই নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার কলকাতায় এলেন। সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতিসম্পন্ন জীবন্ত এই শহরের বিশেষ স্থান রয়েছে জাতির হৃদয়ে। বুদ্ধের দিক থেকেও এই শহর প্রাণবন্ত। রয়েছে সংস্কৃতি উত্তাপ। ভারতের যা কিছু সেরা এই শহর তারই প্রতীক।
এদিন গার্ডেন রিচে তারকা খচিত অনুষ্ঠানে নৌসেনার নতুন স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেটের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি আরো জানান, আজ ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি এবং ভবিষ্যতের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার চেষ্টা করছে। এই রণতরী ভারতীয় নৌসেনার ‘প্রজেক্ট –১৭ আলফা’ বা সংক্ষেপে পি–১৭ প্রকল্পের ৬ষ্ঠ জাহাজ।
নেশা মুক্ত ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় স্তরে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। ‘My Bengal Addiction-Free Bengal’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ এর পর তিনি এই বার্তা দেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে সারা বিশ্বে প্রায় তিন কোটি মানুষ বিভিন্ন নেশায় আসক্ত। নেশার আসক্তি শুধু পরিবার নয় সমাজ তথা সমগ্র বিশ্বের কাছে চিন্তার বিষয়। এ ব্যাপারে প্রত্যেককে সচেতন হবার বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা ও মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। এদিন বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।