প্রেসক্রিপশন হবে বাংলায়; রোগীর স্বস্তিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নতুন পদক্ষেপ

রোগীর রোগযন্ত্রণার সঙ্গে আরো একটি বিশেষ যন্ত্রনা হল প্রেসক্রিপশন থেকে ওষুধের নাম উদ্ধার,  যা নিয়ে সুস্থ-অসুস্থ সবাই ভোগেন। এছাড়া কোন ওষুধ , কখন খাওয়া হবে, কোন টেস্ট করাতে হবে, তার নির্দেশিকাও বোঝা রীতিমতো দুষ্কর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডাক্তারের দুর্বোধ্য হাতের লেখা পড়তে গিয়ে নাকাল হন রোগী ও তাঁর পরিজনেরা। ইংরেজিতেই লেখা থাকে প্রেসক্রিপশন । এবার সেই সমস্যার সমাধানে নতুন ধরনের ই-প্রেসক্রিপশনের সূচনা করলো রাজ্য সরকার, যেখানে বাংলাতেই লেখা থাকছে ওষুধের ডোজ। এই ই-প্রেসক্রিপশন এ রাজ্যে নতুন নয় কারণ সমস্ত সরকারি হাসপাতালে তা প্রযোজ্য রয়েছে ,যাতে ৩৬০০০ রোগীর বিস্তারিত তথ্য আছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি পরিষেবায় এই নতুন বাংলা প্রেসক্রিপশন রোগী ও তার পরিজনদের কাছে অবশ্যই স্বস্তিদায়ক বার্তা।

সাধারণ প্রেসক্রিপশনে ওডি’, ‘বিডি’, টিডিসি’, ‘এসি’-র মতো একাধিক সংকেত লেখা থাকে, যার অর্থ সাধারণ মানুষের পক্ষে জানা অসম্ভব। নতুন এই প্রেসক্রিপশনে এই সব সংকেতের পাশে স্পষ্ট করে ‘খাওয়ার আগে’, ‘খাওয়ার পর’, ‘শোয়ার আগে’ ইত্যাদি নির্দেশ বাংলাতেই লেখা থাকছে। কত দিন কোন ওষুধ খেতে হবে, বলা থাকছে তাও। এই নতুন উদ্যোগ মাসখানেক আগেই বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে শুরু হয়েছে - সেখানে বাংলায় ডোজ লেখা এই নতুন ই-প্রেসক্রিপশন চালু হয়েছে। এই প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে রোগী ও ডাক্তার উভয়পক্ষই রেজিস্ট্রেশন করে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবে -যা সিস্টেমে আপলোড হচ্ছে,যাতে পরবতীকালে সেই তথ্য অনুসন্ধানের সহায়ক হয়। কিছুটা পরীক্ষামূলক হলেও বিষয়টি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে সর্বত্র শুরু হওয়ার জন্য আরো একটু সময় প্রয়োজন। তবে রাজ্যের সব হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে শুরু হবে এই ব্যবস্থা যার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গেছে । বলা যেতেই পারে স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবায় রোগীর আরো একটু মানসিক স্বাচ্ছন্দ্যে রাজ্যসরকারের এই পদক্ষেপ প্রশংসার দাবি রাখে ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...