দেব দেবীর ‘মিনিয়েচার’ মূর্তি গড়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে হুগলীর প্রশান্ত!

প্রতিমার উচ্চতা ঠিক এক ফুটের মধ্যে, তার থেকে বড় নয় বরং আরও ছোট। এভাবেই একে একে ছোট্ট ছোট্ট প্রতিমা বানিয়ে যাচ্ছে হুগলির এই যুবক। নাম প্রশান্ত কুমার প্রসাদ।

দুর্গা, লক্ষ্মী, কালী হোক কিংবা শিব — ছোট্ট ছোট্ট মূর্তি গড়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন তিনি। তবে, এই শিল্পকে ‘মিনয়েচার আর্ট’ বা ক্ষুদ্র শিল্পকর্ম বলা হয়। এই শিল্পকে আরও উচ্চ স্তরে নিয়ে যাচ্ছে ২৩ বছরের প্রশান্ত।  

তবে তিনি শুধু প্রতিমা বানান না। এই কাজের পাশাপাশি তিনি রিষড়ার এক বেসরকারি অফিসে কাজ করেন। দিনভর অফিসের প্রচুর কাজের চাপ সামলে রাতে বাড়ি ফিরে মূর্তি বানানোর কাজ নিয়ে বসেন তিনি।

প্রসাদ পরিবারের সমস্ত সদস্যরা গর্বিত তাঁদের ছেলেকে নিয়ে। তাঁরা চান, ছেলের এই সৃষ্টিশীল কাজ যেন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক।

হুগলির কানাগড়ে আশ্রম মাঠের ভাড়া বাড়িতে থেকে প্রশান্ত সহ তাঁর পরিবার। ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকতে ভালোবাসতেন প্রশান্ত। মনের ইচ্ছে থেকেই ছোট ছোট প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু করলেন তিনি। রাতের অবসর সময়টাকে কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে মা দুর্গা, লক্ষ্মী, শিব ও কালী।

জানা গিয়েছে যে প্রশান্তের তৈরি ছোট্ট দুর্গা আসছে কলকাতার বেহালায়। এক ফুটের দুর্গা, পাঁচ ইঞ্চির লক্ষ্মী ও ৯ ইঞ্চির মা কালী বানিয়েছেন তিনি।

মৃৎশিল্পী থেকে অলংকার, রং, চক্ষুদান সবকিছু নিজের হাতেই গড়ছে হুগলির প্রশান্ত।

বি.কম পাশ করে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন প্রশান্ত। বাবা, মা ও ছোট ভাইকে নিয়েই সংসার চালায় ভাড়া বাড়িতে। প্রশান্তর বাবা পেশায় টোটো চালক এবং মা গৃহবধূ।

এক সংবাদ মাধ্যমে প্রশান্তের বাবা ছেলের ব্যাপারে বলেছেন যে, “ছোটবেলা থেকেই আঁকা নিয়ে বেশ সুনাম ছিল প্রশান্তর। ২০১৯ সাল থেকে তার হাতে করা ছোট ছোট শিল্পকর্মে নজর কেড়েছিল আমাদের। আরও ভালো করে কিছু করার লক্ষ্য নিয়ে উৎসাহিত করেছিলাম ছেলেকে। ছেলেরাই শিল্পকর্মের প্রচেষ্টায় গর্ব অনুভব করি। আগামী দিনে ওর শিল্পকর্ম যাতে সকলে জানতে পারে এটাই কামনা করব। আগামী দিনে ওর শিল্পকর্ম যাতে সকলে জানতে পারে এটাই কামনা করব।”

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...