বন্ধুহীন প্রসেনজিৎ

সে তো ছিল অনিয়মের ঋতু।যার হাত ধরে বাংলা চলচ্চিত্র তার চিরাচরিত নিয়মের বেড়াজাল টপকে মুক্তির পথের হদিশ পেয়েছিল।দিন কাটছিল বাংলা সিনেপ্রেমিকরা হয়ত অপেক্ষায়ছিল এক বৈপ্লবিক সৃষ্টির, ১৯৯২ সালে এক নতুন পরিচালক তৈরি করল হিরের আংটি তারপরই শুরুহল ঋতুযুগ। আজ তো ঋতুপর্ণ ঘোষেকে নিয়ে আলোচনার দিন, তবে আজ আলোচনা করব তার জীবনের এক অধ্যায় নিয়ে। এই অধ্যায়ের জুড়েছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে ঋতুযুগের সূচনার সঙ্গে সঙ্গে পুনর্জন্ম হয়েছিল তাঁরও। বহুসাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণ জানিয়ছেন হিরের আংটি থেকেই প্রসেনজিৎ এর সাথে কাজ করার ইচ্ছেছিল তাঁর। তবে হয়ে উঠছিল না। এত বড় স্টার তিনি কি আর কাজ করবেন.. এইচিন্তা কোথাও পেছন থেকে টেনে ধরছিল তাঁকে। তবে তাদের যে দেখা হওয়ারই ছিল। ঋতুপর্নের তৃতীয় ছবি ১৯শে এপ্রিল একটা ছোট্ট ভূমিকায় অভিনয় রাজি হন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তেমনটাই হল কাজের সূত্রে অপর্নাসেনের বাড়িতে দেখা হল তাঁদের। তারপর থেকেই শুরু। আবিষ্কার হল এক অন্য প্রসেনজিৎ। একের পর এক চোখেরবালি’, ‘উৎসব’, ‘সবচরিত্রকাল্পনিক’, ‘খেলা’ ও ‘দোসর’। এ যেন এক ম্যাজিকাল জার্নি। কাজের বাইরেও হয়েউঠল একে অপরের প্রাণের দোসর। টলিইন্ডাস্ট্রির অনেকেই সাক্ষী আছে তাদের মান অভিমান পর্বের। সবকিছু মিলিয়ে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি পেয়েছিল নতুন দিগন্ত। আরও পাওয়ার বাকি ছিল তবে হঠাৎই ২০১৩ এর ৩০শে মে ছন্দপতন ঘটল ঋতু-প্রসেনজিৎ পর্বের। আজও মঞ্চে উঠে ঋতু প্রসঙ্গে কিছু বলতে গিয়ে কেঁপে ওঠে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের গলা। আজ পাঁচবছর পরও এই দিনটায় হয়ত ভুল করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তাটা যায় একই নম্বরে তবে ইনবক্স চেক করার মনুষটা আর নেই। তবে আজও প্রিয়বন্ধুকে আকাশের ঠিকানাতেই চিঠি পাঠাতে ভোলেন না প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...