যাদবপুর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্র প্রমিত দেবমল্লিক ইন্ডিয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস(আইইএস)-এ দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন। চলতি বছরে গোটা দেশের দু'লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে ইউপিএসসি-র আইইএস-এ সফল হয়েছেন ৪৯৪ জন।
স্কুলে পড়ার সময় থেকেই প্রমিতের পড়াশোনার কোনও বাঁধাধরা সময় ছিলনা। তিনি নিজে তাঁর এই সাফল্যের জন্য বাবা পথিক দেবমল্লিকের পাশাপাশি যাদবপুরের শিক্ষকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। ১৯৬৬ সালে আইইএস পরীক্ষায় দেশে পঞ্চম হয়েছিলেন বর্তমানে মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। প্রমিতকে তিনি অভিনন্দন জানান। সল্ট লেকের বাসিন্দা প্রমিত লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ থেকে আইএসসি পাশ করে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় র্যাঙ্ক করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান। সর্বভারতীয় পরীক্ষায় দেশের মধ্যে দ্বিতীয় হওয়ায় প্রমিতের স্বপ্ন সফল হয়েছে। নিয়মিত ক্লাসে হাজিরা, শিক্ষকদের লেকচার শোনা, বিগত বছরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সমাধান এবং আইইএস সংক্রান্ত মহানগরের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানের মক টেস্টে বসাই এই সাফল্যের কারণ বলে জানান তিনি। ছবি তুলতে, মডেল রেল রোডিং, মডেল এয়ারক্রাফট, পুরোনো বই এবং ইঞ্জিনিয়ারিং-এর নানান জার্নাল সংগ্রহ করতে ভালোবাসেন প্রমিত। তিনি ভারতীয় রেলের উচ্চপদে যোগ দিতে চান।
যাদবপুরের শিক্ষক তথা জয়েন্ট বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ দত্ত জানান, এ রাজ্যের কেউ গত তিন দশকে আইইএস-এ দ্বিতীয় হয়েছে বলে তিনি মনে করতে পারছেন না। বাঙালি পড়ুয়ার এই সাফল্য যথেষ্ট গর্বের। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর এক অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস জানান, যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের গেট, জিআরআই এবং ক্যাটের মত পরীক্ষায় সাফল্য আছে। কিন্তু আইইএস-এ দ্বিতীয় কেউ হয়নি এ পর্যন্ত। প্রমিতের এই সাফল্য যাদবপুরের পাশাপাশি বাংলার কারিগরি এবং প্রযুক্তি বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতে উদ্বুদ্ধ করবে বলেও জানান তিনি।