চাঁদের মাটিতে ‘স্মুদ ল্যান্ডিং’ করল চন্দ্রযান ৩-এর বিক্রম। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণের পর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে এল রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর জমিতে হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে রোভার প্রজ্ঞান। বিক্রমকে ‘গুডবাই’ বলে বেরিয়ে পড়ার সময়কার ছবিও ধরা রয়েছে ইসরোর চন্দ্রযান ৩-এ। সেই ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুর বিষয় নিয়ে সবকিছুই অজানা। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ চেষ্টা করেও সেখানে পৌঁছতে পারেনি আর সেখানেই প্রথম পা দিল ভারত। তৈরি হয়েছে ইতিহাস। এই প্রজ্ঞানই এবার চাঁদের সমস্ত অজানা তথ্য পাঠাতে শুরু করবে ইসরোকে। চাঁদের জমিতে নেমে এবার কী করবে ল্যান্ডার ও রোভার?
বিক্রম যখন চাঁদে নেমেছিল, সেখানে তখন সবে সবে ভোর হয়েছিল। কিছু পরেই বিক্রমের দরজা খুলে যেতেই বেরিয়ে এসেছে রোভার প্রজ্ঞান। আগামী ১৪ দিন রোভারটি চাঁদে ঘুরে ঘুরে কাজ করবে।
চাঁদে রয়েছে প্রচুর ধুলো। কেন এত ধুলো, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর ভরের ছয় ভাগের একভাগ হল চাঁদের ভর। সে ক্ষেত্রে পৃথিবীর মাটিতে ধুলো ঝড় হলে তা সরে যেতে যতটা সময় লাগে, চাঁদে লাগবে তার থেকে অনেক বেশি। এই ধুলোকণা ভেসে থাকে অনেক বেশি। ধুলোকণা আবার মাটিতে পড়ে মিশে যেতে তুলনামূলক- ভাবে অনেকটাই বেশি সময় লাগে।
চাঁদের এই অংশে সূর্যের আলো একেবারেই প্রবেশ করে না । তবে এই অংশই মহাকাশ এবং চন্দ্র গবেষকদের কাছে একটা বিশেষ জায়গা।
রোভারের সঙ্গে রয়েছে একাধিক দিকনির্দেশক স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে অনুসন্ধান চালাবে সে। চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞানই এঁকে দিয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকা এবং ইসরোর লোগো। প্রজ্ঞান চাঁদ থেকে যা যা তথ্যসংগ্রহ করবে, তার সব কিছুই পাঠিয়ে দেবে ল্যান্ডার বিক্রমকে। বিক্রম সেই বার্তা পাঠাবে ইসরোতে।
এইসব কাজ ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটিতে শুরু করে ফেলেছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার ও রোভার।