মেদিনীপুরের মাটির সংস্থা প্রগতি। যে মাটি একসময় ভারতকে স্বাধীনতা আন্দোলনের পথ দেখিয়েছিল, জন্ম দিয়েছে হাজার হাজার বিপ্লবীর সেই মাটিতেই জন্ম প্রগতি রাইসের, যা বাংলার চালকে অন্য মাত্রা দিচ্ছে বিদেশে। খড়গপুরের সংস্থার চাল পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, ইউরোপ, কোস্টারিকা, মিশর, আরব, ইন্দোনেশিয়া এমনকি বাংলাদেশেও।
এই চালে একটি পাথরের টুকরোও মিলবে না। এতটাই ভালো ‘প্রসেসিং’ ও ‘প্যাকেজিং’ এই সংস্থার। প্রগতি তাদের কাজ ধান থেকে চাল উৎপাদন করতে হলে প্রথমে বীজতলা তৈরী করে। তারপর বীজ ছিটিয়ে রেখে কয়েকদিন সেচকার্য করে। তারপর ছোট চারা তৈরী হয়। সেগুলিকে তুলে তাদের নিজস্ব জমিতে রোপন করে। ধীরে ধীরে ধান পেকে গেলে হলুদ কিংবা হালকা সোনালী রঙ নেয়। এবং তা হলুদ রঙে পরিণত হলে তবে ধান কাটা হয়।
এরপর মাঠপাকা ধান রোদে শুকানো হয়। ধীরে ধীরে বীজের আর্দ্রতা কমিয়ে আনা হয়। খুব যত্ন নিয়ে এই কাজ হয়, কারণ গোলায় গিয়ে তাতে যেন ছত্রাক হানা না হয় বা পচন ধরে। এরপর মাড়াইকরণ যন্ত্রের সাহায্যে এর খোসা ছাড়ানো হয়। এ পদ্ধতিকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘হাস্কিং’। এরপর একে কুলোর সাহায্যে ঝেড়ে বাছা হয়। এই প্রক্রিয়ার পরই পাওয়া যায় সুন্দর প্রগতি চাল।
এরপর হয় ‘প্যাকেজিং’। এখানেই চলে আসছে প্রগতির বিভিন্ন চালের প্রোডাক্টের। যেমন - ‘টপ নচ রাইস’, ‘প্রগতি সিলভার’, ‘প্রগতি ডায়মন্ড’, ‘প্রগতি প্ল্যাটিনাম’, ‘প্রগতি টাইটেনিয়াম’। এগুলির মধ্যে রয়েছে- ‘হোয়াইট রাইস’, ‘স্টিম রাইস’, ‘সিঙ্গেল’ ও ‘ডবল বয়েল রাইস’। ‘টপ নচ রাইস’ সুগন্ধী চাল, ‘প্রগতি সিলভারের’ স্বাদ মিষ্টি, ‘প্রগতি ডায়মন্ড’ থেকে হোটেল-রেস্তোরাঁ লেমন রাইস, পোলাও বানাতে পারে। চাইলে বাড়িতেও ব্যবহার করা যায়। ‘প্রগতি প্ল্যাটিনাম’ সিঙ্গেল বয়েল চাল।‘প্রগতি টাইটেনিয়াম’ও অন্যতম সেরা ‘প্রোডাক্ট’ এই সংস্থার।
প্রগতির চালের প্রকারভেদের তালিকায় রয়েছে বাঁশকাটি, বিপিটি, দুধেশ্বর, মিনিকিট এ, মিনিকিট বি, জাতিশঙ্কর, আইআর ১০১০ গ্রেড এ, আইআর ১০১০ গ্রেড বি, গোবিন্দভোগ চালও।