আমরা শহরের বাঙালিরা যারা গ্রামবাংলাকে ভালোবাসি, তারা বংলার হাট কেও বড্ড ভালোবাসি| ছোটবেলায় হাট নিয়ে অনেক রচনা লিখেছি স্কুলে মনে পড়ে| হাট-এর বিশেষত্ব হল, এক জায়গায় নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিস যেমন পাওয়া যায়, তেমনি হাটে বাজার করতে আসা মানুষজন একজায়গায় মিলিত হয় অনেকটা আমাদের শহুরে ভাষায় গেট টুগেদার-এর মত|
এই ভূমিকার কারনটা তাহলে স্পষ্ট করে বলি| আগামী পয়লা বৈশাখ থেকে মৎস দফতরের সৌজন্যে খোদ কলকাতায় দৈনন্দিন গেরস্থালির যাবতীয় উপকরণ নিয়ে হাট বসতে চলেছে| শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির হাট, হাওড়ার মঙ্গলা হাট বা হরি সাহার হাটের মত এখনও শহর ছাড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়মিত বসে স্থানীয় হাট| এবার সেই হাটের ঐতিহ্য ও ব্যবসায়িক গুরুত্বকে বোঝাতেই নলবনে ভেড়ির পাশে বসবে নগরায়িত হাট| মৎস দফতরের অধীনস্থ মৎস উন্নয়ন নিগমের পক্ষ থেকে এই হাট বসানো হচ্ছে| যদিও পয়লা বৈশাখ থেকে এই হাট বসবে, কিন্তু ঠিক কি বার-এ এই হাট বসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে তা এখনো চুড়ান্ত করা হয়নি| নিগমের এক আধিকারিকের কথায়, নলবনের কাছেই তথ্যপ্রযুক্তি তালুক| এখানে প্রচুর মানুষ কাজ করতে আসেন| সপ্তাহান্তে যদি তারা জলাশয়ের পাশে একটু স্ন্যাকস খেতে খেতে জরুরী সমস্ত সামগ্রী পেয়ে যান, তাহলে অনেকেই এই হাট-এ আসতে চাইবেন| প্রসঙ্গত নলবনের ওই মাঠে ইতিমধ্যে একাধিক বাঙালি-কন্টিনেন্টাল খাবারের রেস্তোরা রয়েছে| পাশাপাশি নিগমের পক্ষ থেকে কাঁচা প্যাকেটজাত মাছ বিক্রি করা হচ্ছে| সেই সঙ্গে রান্না করা মাছের বিভিন্ন পদও বিক্রি করা শুরু হয়েছে| হরিণঘাটা থেকে কাঁচা মাংস সহ বিভিন্ন পদ বিক্রি করা হচ্ছে| সুফল বাংলাও ইতিমধ্যে দোকান দিয়েছে সেখানে| ফলে কাঁচা সবজি থেকে আরো বিভিন্ন রান্নার সামগ্রী সেখানে বিক্রি করা হবে| আনন্দধারা ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাদের নিজস্ব হাতে তৈরী জিনিস বিক্রি করতে পারবেন এখানে|