পৌষমেলার সব আয়োজন এবারে হবে অনলাইনের মাধ্যমে। সেই মর্মে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ সফ্টওয়্যার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর এক প্রতিনিধি দল খড়্গপুর আইআইটি-তে গিয়ে আলোচনা করলেন। উল্লেখ্য, আগামী ১১ডিসেম্বর পৌষমেলার আয়োজন নিয়ে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের করা পরিবেশ আদালতে মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
শান্তিনিকেতনের অন্যতম ঐতিহ্য ও আকর্ষণ পৌষমেলা। মূলত শুরুতে গ্রামীণ মেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে এই মেলার আভ্যন্তরীন পরিবর্তনও হয়েছে উল্লেখজনকভাবে। প্রতি বছরই মেলার দূষণ বেড়ে চলেছে। অনেকে অভিযোগ তুলেছেন, পৌষমেলা কর্পোরেট মেলার রূপ নিয়ে নিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ জুন একটি বৈঠকের পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাতে স্পষ্ট ভাষায় কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, এ বছর থেকে পৌষমেলার পরিচালনার ভার আর বিশ্বভারতী বহন করবেনা। স্বাভাবিকভাবেই এই বিজ্ঞপ্তির পর পৌষমেলা আদৌ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।
বিভিন্ন চাপান-উতোরের পর দু'সপ্তাহ আগে বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, বিশ্বভারতী আধিকারিক সহ-উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদ এ বছরের মেলা নিয়ে বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকেও সিদ্ধান্ত হয়, এ বছরও পৌষমেলা হবে। তবে এবার থেকে ফের চার দিন পৌষমেলা হবে। কিন্তু এবারে স্টল বন্টন সহ মেলার যাবতীয় কর্মকান্ড অনলাইনে করা হবে। ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই সফ্টওয়্যারের মধ্যে দিয়ে অনলাইন স্টল বুকিং শুরু হবে।