বিয়ের আচারআচরণ নিয়ে নানাধরনের পরীক্ষা করতে ভালবাসেন অনেকেই| উপহারের ক্ষেত্রেও দেখা যায় নানা তারতম্য| কিন্তু বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রে খুব বেশি পার্থক্য দেখা যায় না| ডিজাইনে পরিবর্তন আসলেও পত্রটি কিন্তু থাকেই থাকে| কিন্তু ভোপালের এক দম্পতি তাদের নিমন্ত্রণপত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন এক অন্য জিনিস| না, তারা কার্ড দেননি কাউকে| তারা দিয়েছেন একটি করে গাছ| আর সেই গাছের টবেই লেখা রয়েছে তাদের বিয়ের খুঁটিনাটি|
এর আগে মুম্বাইয়ে ইকো ফ্রেন্ডলি বিয়ে করে ভাইরাল হয়েছিলেন এক দম্পতি| তাদের বিয়েতে ব্যবহৃত হয়েছিল নানা পুনর্ব্যবহার্য জিনিস| কিন্তু সবকিছুকে চাপিয়ে এগিয়ে গেছেন ভোপালের এই দম্পতি প্রাংশু এবং সুমি| নিমন্ত্রণ পত্রের জায়গায় গাছ উপহার দিয়েই চমকে দিয়েছেন সকলকে|
জানা গেছে, পাত্র প্রাংশু কানকানে এবং তার দাদা প্রতীক কানকানে বরাবরই উত্সাহী ছিলেন ইকো ফ্রেন্ডলি বিয়ে নিয়ে| তাই যখনই ভাইয়ের বিয়ের সময় আসে, সেই সময়ের সদ্ব্যবহার করেন তিনি| তিনিই বিয়েতে নিমন্ত্রণপত্রের জায়গায় পটেড প্ল্যান্ট দেওয়ার কথা প্রথম বলেন তার ভাইকে| ভাইয়েরও কথাটি মন্দ লাগেনি| ব্যাস, যেমন ভাবা তেমন কাজ| পাত্রের দাদার নির্দেশে তৈরী হলো ছোট ছোট পটেড প্ল্যান্ট যার গায়ে লেখা ছিল ‘প্রাংশু ওয়েডস সুমি’| সঙ্গে উল্লেখ করা ছিল দিনক্ষণেরও| পাত্রের দাদা প্রতীক জানিয়েছেন, কাগজের অপচয় বন্ধ করা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি| সেই থেকেই এই অভিনব নিমন্ত্রণপত্রের কথা মাথায় আসে তার| প্রথমে পাত্রের বাড়ির পক্ষ থেকে পাঠানো হয় কিছু ই-কার্ড| তাতে আবার বেজায় আপত্তি ছিল পাত্রের মায়ের| সনাতনী পদ্ধতি ছেড়ে অন্য পদ্ধতির অবলম্বন মানতে অসুবিধা হচ্ছিল পাত্রের মায়ের| এরপর মায়ের কথা রাখতেই পটেড প্ল্যান্ট দেওয়ার কথা ভাবেন তারা| পাত্রের বাড়ির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে এমন একটি গাছ যা স্বল্পযত্নেই ৩ থেকে ৪ বছর ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে বেঁচে থাকতে পারবে|