অনেক মানুষেরই সকালের অভ্যাস বদলে দিয়েছে করোনা। খবরের কাগজের পাতা খুললেই খারাপ খবরের ভিড় ক্লান্ত করে। শেষ হয়ে যায় সব এনার্জি। তাই কাগজ পড়া বন্ধ। টিভি, ইন্টারনেট সব জায়গায় একই ছবি। সকলেই যেন সকল কে প্রশ্ন করে চলে ‘ভালো খবর কি নেই?’। অনেকক্ষেত্রেই উত্তর মেলে না। কিন্তু উত্তর আছে তো। এই যে নব্বই বছরের এক বৃদ্ধা করোনা জয় করে ফিরে এলেন। ছয় দিনের শিশু সুস্থ হয়ে মা বাবার কোলে ফেরে গেল।
তাহলে হাতিয়ার টা কী?
উত্তরটা হল ‘পজিটিভ থাকা’। সমস্ত নেতিবাচক চিন্তা দূরে সরিয়ে ইতিবাচক চিন্তাকে প্রাধান্য দেওয়া। বিশ্বব্যাপি মনোবিদরা জানাচ্ছেন এটাই ভালো থাকার সবচেয়ে ভালো উপায়।
ইতিবাচক চিন্তা বদলে দেয় মানুষের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ। অবসাদের পরিবর্তে ঝকঝকে। টানটান। চিন্তা ভাবনার বদল জীবনের উজ্জ্বল দিকগুলোকে আপনার মনের আয়নায় তুলে ধরবে। তার ফলেই আপনি আবেগে চললেও দিশা হারাবেন না।
স্বাস্হ্য এর ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। করোনায় কোণঠাসা মানুষকে ঘুরে দাঁড়াতে পজিটিভ থাকার মন্ত্র দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাতে ইমিউনিটি বাড়বে।
মনোবিদদের মতে, আপনি যদি পারবেন ভাবা শুরু করেন তবেই পারবেন।
সেই ভাবনায় লাগাতার শান দিয়ে ধারালো করে তুলতে হবে দৃষ্টিভঙ্গি।
নেগেটিভ চিন্তা অনেকটা টুথপেস্ট এর টিউবের মতো। একবার মনের মধ্যে বাসা বাঁধলে সব আত্মবিশ্বাস শেষ করে দেয়।
কাজেই কঠিন সময়েও ভালো থাকতে পজিটিভ থাকাই সুরক্ষার অস্ত্র। আর সেই অস্ত্রেই করোনাকে হারিয়ে ঘরে ফিরলেন নব্বইয়ের বৃদ্ধা আর ছ’দিন বয়সের শিশু।
অন্যরা পেরেছে, আপনিও পারবেন।