২৩ আগস্ট বুধবার সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করে বিক্রম। সেদিন ভারতে মাটিতে বসে এই অতুলনীয় দৃশ্য উপভোগ করতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশের মাটিতে পা রেখেই প্রধানমন্ত্রী প্রথম গন্তব্য ছিল ইসরো সংস্থায়।
পরে, মোদি চন্দ্রযান ৩ মিশন সফল হওয়ায় তিনি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করে চাঁদের দু’টি জায়গার নামকরণ করলেন। তিনি চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণ ভূমির নাম হয় ‘শিবশক্তি’। ২০১৯ সালে অসফল চন্দ্রযান-২ চাঁদের মাটিতে যেই জায়গায় ভেঙে পড়েছিল, সে জায়গারও একটা নাম দিলেন ‘তেরঙা’। প্রধানমন্ত্রী নামকরণের সাথে ২৩ অগাস্ট দিনটিকে ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’ হিসাবেও ঘোষণা করলেন।
চন্দ্রযান ৩-এর বিক্রমের ল্যান্ডিংয়ের সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কারণ সেখানে চলছিল ব্রিকস সম্মেলন৷ তিনি জোহানেসবার্গ থেকেই ভার্চুয়ালি ল্যান্ডিং-এর প্রক্রিয়া দেখতে ইসরোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন৷
চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডিংয়ের সময় বেঙ্গালুরুতে ইসরো প্রধান দফতরে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তবে, ২০১৯ সালে ৭ সেপ্টেম্বর সেইবার, চন্দ্রযান ২ চাঁদের মাটি ছুঁতে ব্যর্থ হয়েছিল৷ সেই অভিযানের ব্যর্থতার পরে তিনি বলেছিলেন, ‘দেশের মানুষের হতাশার কোনও কারণ নেই যে কেন চন্দ্রযান চাঁদের মাটি ছুঁতে পারল না৷ আমরা আমাদের ভুল থেকে শিক্ষা নেব, এগিয়ে যাব যতদিন সাফল্য ধরা না দেয় ৷’
২৩ আগস্ট, ২০২৩ সালে অবশেষে সাফল্য় এল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দিয়েছে ভারত। পৃথিবীর আর কোনও দেশ সেখানে এখনও পৌঁছতে পারেনি। এই অবতরণ প্রক্রিয়ার সময় লেগেছে মাত্র ১৯ মিনিট।
শনিবার ইসরোয় পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আপনারা দেশকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেলেন, সেটা কোনও সাধারণ সাফল্য নয়। আমরা যেখানে পৌঁছেছি, সেখানে আর কেউ পৌঁছতে পারেনি। আমরা যেটা করে দেখিয়েছি, তা আগে কেউ কখনও তা করে দেখাতে পারেনি। ‘