জওয়ানদের সঙ্গে দেওয়ালি পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী

 

কিছু মানুষের তৎপরতার কারণেই আমরা সাধারণ মানুষ নিশ্চিন্তে উৎসবের আমেজ উপভোগ করতে পারি। এরকমই দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হলেন সীমান্তে পাহারারত রক্ষীরা। তাঁদের কোনওরকম উৎসবের ছুটি নেই। সেই কথা মাথায় রেখে এবং তাঁদের কাজকে কুর্নিশ করতে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছে গেলেন জম্মু-কাশ্মীরে সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানদের সঙ্গে দেওয়ালি উদযাপন করতে। গতকাল বিমানে রাজৌরিতে সেনাবাহিনীর সদর দফতরে তিনি পৌঁছে যান। জওয়ানদের সঙ্গে মিষ্টিমুখও করেন

                           এই নিয়ে তৃতীয়বার দেওয়ালি পালন করলেন মোদী জম্মু-কাশ্মীরের জওয়ানদের সঙ্গে। ২০১৪ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি দেওয়ালির সময় লাদাখের সিয়াচেন সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তারপর ২০১৭ সালে উত্তর কাশ্মীরের গুরেজ সেক্টরে পৌঁছে জওয়ানদের সঙ্গে দেওয়ালি উদযাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। মাঝখানে ২০১৫ সালে পাঞ্জাব সীমান্তে গিয়েছিলেন মোদী, সে বছর সেখানে ১৯৬৫ সালের ভারত- পাক যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি পালিত হয়। এছাড়া ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে যথাক্রমে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের ভারত-চীন সীমান্তে  গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

                       এদিন ছিল সেনাবাহিনীর পদাতিক দিবস বা ইনফ্যান্ট্রি ডে। পাক সেনার অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর প্রথমবার কাশ্মীরে প্রবেশ করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেই ঘটনার স্মরণেই দিনটিকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে সেনাবাহিনী পালন করে। নর্দার্ন কমান্ডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং-এর নেতৃত্বে দিনটি পালিত হয়। উধমপুর জেলায় অবস্থিত 'ধ্রুব শহীদ স্মারকে' শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পাশাপাশি বাহিনীর উদ্দেশ্যে বার্তাও দেন কমান্ডার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিচ্ছন্নতাবাদীদের ডাকা বন্ধ-এ সাড়া না দিয়ে গত তিন দশকে প্রথমবার এদিন দোকান খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। রেসিডেন্সি রোডের সাপ্তাহিক হাটে এদিন স্বাভাবিক বেচাকেনাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। রাস্তায় ছিল পর্যাপ্ত যানবাহন।এর পরে প্রধানমন্ত্রী পাঠানকোটের সেনাবাহিনীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...