মহারাষ্ট্রে প্লাস্টিক রিসাইকেল করার ভাবনা

আমাদের সমাজে পরিবেশ দূষণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল প্লাস্টিক। চারদিকে প্লাস্টিকের ব্যবহার এত বেড়ে গেছে, তা পরিবেশের ওপর বিষের সমতুল। কারণ কোনও রকম রিসাইক্লিং-এর ব্যবস্থা নেই প্লাস্টিক থেকে। সর্বত্র প্লাস্টিক ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনার প্রচেষ্টা থাকলেও তার যথার্থ প্রয়োগ হচ্ছেনা। আমাদের রাজ্যেও প্লাস্টিক ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা চলছে। শিলিগুড়ি এই বিষয়ে যথেষ্ট এগিয়েও গেছে। কিন্তু প্রয়োজন আরও সচেতনতার। প্লাস্টিক যখন আমরা রিসাইকেল করার ব্যবস্থা করব, তখনই সমস্যার যথাযথ সমাধান সম্ভব হবে।

     এই ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে এলো মহারাষ্ট্র সরকার। গত বছর থেকেই প্লাস্টিকের ব্যবহারে রাশ টেনেছে মহারাষ্ট্র সরকার। এবারে আরও এক ধাপ এগিয়ে রোজকার জীবনের দুধের প্যাকেট রিসাইক্লিং করার ভাবনা করছে মহারাষ্ট্র সরকার। চলতি মাস থেকেই এই ব্যবস্থা বাস্তবায়িত করতে চলেছে বলে খবর। ওই রাজ্যের মানুষেরা যদি দুধের প্যাকেট বিক্রেতার কাছে ফিরিয়ে দেন, তাহলে প্রতি প্যাকেট পিছু তিনি পাবেন ৫০ পয়সা

প্রতি প্যাকেটে ৫০ পয়সা করে এলে প্রত্যেকের যে লাভ হবে, তা বলাই বাহুল্য। এদিকে ওই প্যাকেটগুলিকে পুনরায় রিসাইকেল করে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের পরিবেশ মন্ত্রী রামদাস কড়ম জানান, এই ব্যবস্থা শুরু করা গেলে, প্রত্যেকদিন রাজ্যের রাস্তায় প্রায় ৩১ টন প্লাস্টিক আর ১ কোটি পলিপ্যাক পড়ে থাকার সমস্যা মেটানো যাবে। প্রতিদিন সারা রাজ্য জুড়ে প্রায় ১২০০ টন প্লাস্টিকের অপচয় কমে এখন ৬০০ টন হচ্ছে। অর্থাৎ প্রায় ৫০ শতাংশ প্লাস্টিকের ব্যবহার কমেছে ২০১৮ সালের জুনের পর থেকে। মহারাষ্ট্রের ,৩৬৯ টি দোকানের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্লাস্টিক ব্যবহারের জন্য ৪ কোটি ১২ লক্ষ ২০ হাজার ৫৮৮ টাকার জরিমানাও করা হয়েছে। প্লাস্টিক তৈরির ২৭৩ টি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফে ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৬৭০ কেজি প্লাস্টিক ব্যাগ একেবারে নষ্টও করে দেওয়া হয়েছে।

       এখন দেখার নতুন এই পদ্ধতি অবলম্বন করে মহারাষ্ট্র সরকার কতটা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে এবং অন্যান্য রাজ্যগুলিও কবে থেকে প্লাস্টিক রিসাইকেল করার ভাবনা বাস্তবায়িত করতে পারে।

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...