শীতের শেষে বসন্তের সূত্রপাত| তারই মধ্যে বৃষ্টি এবং পশ্চিমী ঝঞ্ঝা| মশক কুলের জন্মের একটি সেরা সময় এটি| কোনো জায়গায় জমা জল থাকলেই সেখানে ডিম পাড়ে স্ত্রী মশারা| ধীরে ধীরে লার্ভা এবং তার থেকে পূর্ণাঙ্গ মশা হওয়ার কথা আমরা সবাই ছোটবেলায় পড়েছি| না, আজ আমরা মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ে কথা বলব না| আজ আমরা কথা বলব এমন কিছু গাছকে নিয়ে যাদের বাড়িতে লাগালে মশারা সেই বাড়ির ধারে কাছে পর্যন্ত আসতে পারে না|
তারই মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে গাঁদা ফুল| শীতের বাহারি ফুল গাঁদা গাছের একটি নিজস্ব গন্ধ আছে যে গন্ধটি মশারা কেন কোনো পোকামাকড়ই সহ্য করতে পারে না| তাই বাড়ির চারপাশে গাঁদা চারার চাষ করলে দুরে থাকে মশা থেকে শুরু করে নানান পোকা|
তুলসী গাছের উপকারের কথা বলে শেষ করা যায় না| তুলসীর আয়ুর্বেদিক গুণের কথা সকলেরই জানা| এই তুলসী গাছের গন্ধ পোকামাকড় ও মশা মাছি দুরে রাখতে সাহায্য করে| তুলসী গাছের হাওয়া বাড়ির পরিবেশকে নির্মল ও পরিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে|
মশামাছি বা পোকামাকড় লেবুর গন্ধ একদমই সহ্য করতে পারেনা| সেই জন্য বাড়ির মধ্যে একটি হলেও লেবুগাছ লাগানোর চেষ্টা করুন| এছাড়া লেবু ফিনাইলও এই ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ দেয়|
এছাড়াও রসুন গাছ মশা তাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে| বাড়িতে রসুন গাছ লাগালে ফল পাওয়া যায় হাতে-নাতে|
এছাড়া মশারা ল্যাভেন্ডারের গন্ধ একদম পছন্দ করে না| বাড়িতে ল্যাভেন্ডার গাছ লাগানো যদিও সম্ভব নয় তাই বাজারচলতি রুম ফ্রেশনার, ধুপকাঠি প্রভৃতি ব্যবহার করে দেখতে পারেন|
মশাবাহিত রোগের প্রকোপ দিনদিন বেড়েই চলেছে| তাই শুধু নিজের বাড়িকেই মশামুক্ত করলে চলবে না, তার সাথে পরিবেশে যাতে মশার বংশবৃদ্ধি না হতে পারে সেইদিকেও খেয়াল রাখতে হবে| অযথা কোনো পাত্রে জল জমিয়ে রাখবেন না| বাড়ির চারপাশে আবর্জনা জমতে দেবেন না| এইভাবেই একদিন মশামুক্ত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে|