ঘরবন্দী জনতার মুখে একটা প্রশ্নই ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে, ' কবে উঠবে লকডাউন'। সবাই কবে আবার চেনা জীবনে ফিরতে পারবে তা নিয়েই চলছে যত জল্পনা। সঙ্গে আশঙ্কার মেঘও। সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী ২১ দিনের ভারত জোড়া লকডাউন শেষ হতে চলেছে ১৫ এপ্রিল। কিন্তু পরিস্থিতির জেরে ফের বেড়ে যাবে না তো বন্দি থাকার দিনপঞ্জি! তবে লকডাউন বাড়ানো হতে পারে বলে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এ সংক্রান্ত সমস্ত খবর ভুয়ো তথ্য বলে খারিজ করে হয়েছে সরকারি তরফে।
তবে দুম করেই একেবারে তুলে নেওয়া হবে না লকডাউন। বরং ধাপে ধাপে করোনা পরিস্থিতির সার্বিক বিচার করে শিথিল হতে পারে নিয়ন্ত্রণ। বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আর পি মিশ্র তাঁর টুটটার হ্যান্ডেলে এমনই সম্ভাব্য চিত্রের আভাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শিল্প ও রাজনৈতিক মহল এবং নীতি নির্ধারকদের মধ্যে আলোচনা চলছেই। তারই পরিপ্রেক্ষিতে হয়ত পর্যায় কর্মে আলগা করা হতে পারে লক ডাউনের রাশ। আইটি, ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, বিপিও কোম্পানি গুলোতে প্রথম সপ্তাহে ২৫ শতাংশ, দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫০ শতাংশ তৃতীয় এবং চতুর্থ সপ্তাহে ৭৫ ও ১০০ শতাংশ কর্মী কাজে যোগ দিতে পারবে। খাদ্য এবং জরুরি পরিষেবা শিল্প- কলকারখানাকে প্রথম সপ্তাহ থেকেই পূর্ণ উৎপাদন চালু করতে হবে। অত্যাবশ্যক পণ্য নয়, এমন পণ্য পরিষেবা যেগুলি সব কর্মীর উপস্থিতি ছাড়াও উৎপাদন চালাতে সক্ষম সেই সব ক্ষেত্রেও সাপ্তাহিক ভিত্তিতেই ধাপে ধাপে কর্মীদের উপস্থিতি বাড়াতে হবে।
গণ পরিবহন আরও চার সপ্তাহ বন্ধ থাকতে পারে। তবে নিয়ন্ত্রিত ছাড় মিলতে পারে ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে। ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে গাড়ির সংখ্যা।
স্কুল, মল, সিনেমা হল যেখানে জমায়েতের সম্ভাবনা বেশি এবং সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে সে সব এখনও বন্ধের আওতায় থাকতে পারে।
লকডাউন ওঠার প্রথম সপ্তাহ থেকেই ই– কমার্স এবং পণ্যবাহী পরিবহন যানকে লকডাউন মুক্ত করা হতে পারে। তবে এই সমস্ত কার্যক্রমই সোশ্যাল ডিস্টেনসিং এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে হবে।
কেন্দ্র সরকার নির্ধারিত ২০ টি করোনা হটস্পটে টানা ৪ সপ্তাহ লকডাউন অব্যাহত থাকবে। এই সমস্ত বিষয় এখনও আলোচনা পর্বেই আছে। কোনও বিষয়ই সিদ্ধান্তর স্তরে ঘোষণা হয়নি।