বৃষ্টি মানেই ভেজা মাটির গন্ধ, গাছের পাতায় জমে থাকা জল। বৃষ্টির অপেক্ষায় যেমন বসে থাকে কৃষক ঠিক তেমনিই অপেক্ষায় থাকেন পর্যটকরাও। কারণ বর্ষার মরসুমেই দেশের জনপ্রিয় কিছু ভ্রমণ কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয় পর্যটকদের ঘোরার জন্যে। সারা দেশে এমন বহু জায়গা রয়েছে যেখানে এই সময় প্রচুর পর্যটকের ভিড় হয়।
এই নিবন্ধে বর্ষার মরসুমের সেরা পর্যটন কেন্দ্রগুলির তালিকা তুলে ধরা হল।
লোনাভলা: হিন্দি ছবিতে বহুবার লোনাভলার নাম শোনা গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাই থেকে লোনাভলার দূরত্ব বেশি নয়। বৃষ্টি ভেজা দিনে চলে আসাই যায় এখানে। পর্বতে ঘেরা এই স্থানে রয়েছে দর্শনীয় স্থান। যার মধ্যে অন্যতম হল খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় ও দ্বিতীয় শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে তৈরি বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের দ্বারা নির্মিত কার্লা গুহা। এখানকার বুশি ড্যামের কাছে একটি জলপ্রপাত রয়েছে। ট্রেকিং, ঘোড়ায় চড়ার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। শহর থেকে লোনাভলার দূরত্ব প্রায় ৮৪ কিলোমিটার।
গোয়া: বর্ষার মরসুমের গোয়ার সমুদ্র সৈকতগুলির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সকলে মুগ্ধ করে তুলবে। এই সময় গোয়ার দুধসাগর জলপ্রপাতে ট্রেকিং বা হাইকিংয়ে যান বহু পর্যটক, এছাড়াও আগুয়াদা দুর্গ , ডলফিন শো, সৈকত দ্বারা ঘেরা সুন্দর সমুদ্রের মাঝে ক্রুজ থাকার আনন্দ উপভোগ, বাগা সমুদ্র সৈকতে ওয়াটার স্পোর্টস রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। তার সঙ্গে রয়েছে সুস্বাদু ও জনপ্রিয় গোয়ানিজ খাবার।
কোডাইকানাল: তামিলনাড়ুর বিখ্যাত এই পর্যটনকেন্দ্রটি 'প্রিন্সেস অফ হিল স্টেশন' নামে। পর্বত বেষ্টিত কোডাইকানাল বর্ষার মরসুমে আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে পর্যটকদের জন্যে। বেশ কয়েকটি জলপ্রপাত, হ্রদ ও সবুজে ঘেরা পাহাড়ের দর্শন মিলবে এখানে। কোডাইকানালের বেরিজাম হ্রদ ও কোদাই লেকের ধারের সৌন্দর্য সকলকেই মন্ত্রমুগ্ধ করবে। পর্যটকদের জন্যে ট্রেকিং, বোটিং করার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। তামিলনাড়ুর মাদুরাই থেকে এই ভ্রমণকেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ: মূল ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে বহু দূরে অবস্থিত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। বরাবরই দেশ ও বিদেশী পর্যটকদের পছন্দ সই ভ্রমণকেন্দ্রগুলির অন্যতম হল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে এই ভ্রমণকেন্দ্র। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি রয়েছে ঐতিহাসিক নিদর্শনও। যার মধ্যে অন্যতম হল ব্রিটিশদের তৈরি করা বিখ্যাত সেলুলার জেল। এছাড়াও রোমাঞ্চের জন্যে রয়েছে জেট স্কিইং, স্কুবা ড্রাইভ, স্নরকেলিং ও ট্রেকিং ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।
মুন্নার: চা বাগান, সবুজ পাহাড়ে ঘেরা মুন্নার অবস্থিত কেরলে। বর্ষার মরসুমে আরও আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে এই ভ্রমণকেন্দ্র। দেবীকুলামের সুন্দর হ্রদ এবং আট্টুকাল জলপ্রপাতের দেখা মিলবে এখানে। এছাড়াও আনামুদিতে বন্য প্রাণীর দেখা পাওয়া যায়। জনপ্রিয় এই স্থানটি কেরলের রাজধানী কোচিন থেকে ১৩১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।