পিনাকীচন্দ্র ঘোষ দেশের প্রথম লোকপাল

সম্প্রতি লোকসভায় প্রথম লোকপাল হিসেবে প্রস্তাবিত নাম উঠে এল কলকাতার সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষের তৎকালীন আইনমন্ত্রী অশোক কুমার সেন ১৯৬০ সালে লোকসভায় লোকপাল পদ তৈরীর প্রস্তাব রেখে ছিলেন। এবার সেই পদের প্রথম বারের মত যার নাম প্রস্তাবিত হল তিনিও একজন বাঙালি। গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, লোকসভার অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন, সিনিয়র ল' ইয়ার মুকুল রোহিতগি; প্রমুখদের নিয়ে গঠিত পরিষদে লোকসভায় লোকপাল পদের জন্য পিনাকীচন্দ্র ঘোষের নাম প্রস্তাব করা হয়।

অবসর নেবার পর পিনাকীচন্দ্র বর্তমানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসেবে রয়েছেন। ২০১৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা শম্ভুচন্দ্র ঘোষ ছিলেন কলকাতা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পিনাকীবাবুও কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্বভার নিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। উত্তর কলকাতা জোড়াসাঁকোর বনেদি দেওয়ান বারাণসী ঘোষ পরিবারের পঞ্চম প্রজন্মের আইনজীবী পিনাকীবাবু। পিতা পুত্রের পরম্পরা রক্ষা করে তাঁর ছেলেও বর্তমানে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

১৯৬০ সালে লোকসভায় লোকপাল পদের প্রস্তাবটি ১৯৬৯ সালে পাশ করা হয়। রাজ্যসভায় লোকপাল বিল অনুমোদন পায়নি তখনও। লোকপাল নিয়ে বিতর্ক থাকার দরুন এ বিষয়টি তখন আর বাস্তবায়িত হয়নি। লোকপাল পদ সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য হল সংসদ ও কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় থাকা আমলাদের ওপর সরকারি অনুমতি ছাড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করার ক্ষমতা। তবে বৈদেশিক ও জাতীয় নিরাপত্তা, পরমাণু শক্তি সংক্রান্ত কোনো দুর্নীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার ক্ষমতা থাকছে না লোকপালের।  লোকপাল গঠনে জনমত বেড়েছে কয়েক দশকে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসেই লোকসভা ও রাজ্যসভা লোকপাল বিলটিকে অনুমোদন প্রদান করে।

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...