পিন কোড খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি নম্বর। বাড়ির ঠিকানা, চিঠি পাঠানোর প্রয়োজন বা ডেলিভারি, সর্বত্রই দরকার এই গুরুত্বপূর্ণ কোড। কিন্তু এই পিনকোড কীভাবে গঠন করা হয়েছে জানেন কী? কবেই বা তৈরি করা হয়েছিল এই কোড? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
হাইলাইটসঃ
১। পিন কোড খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি নম্বর
২। PIN কোড-এর পুরো কথাটি হল পোস্টাল ইনডেক্স নম্বর
৩। কবে তৈরি করা হয়েছিল এই কোড?
PIN কোড-এর পুরো কথাটি হল পোস্টাল ইনডেক্স নম্বর (Postal Index Number)। ১৯৭২ সালের ১৫ অগাস্ট তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রকের সিনিয়র অফিসার শ্রীরাম ভিকাজি পিন কোড বিষয়টি তৈরি করেছিলেন। তারপর থেকেই আমাদের রোজকার বিভিন্ন প্রয়োজনে এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই কোড। এই কোড গঠনের নিয়মও খুব স্বতন্ত্র।
ভারতে পিন কোড হল ছয় অঙ্কের একটি সংখ্যা। এর সাহায্যে একটি নির্দিষ্ট এলাকাকে আলাদাভাবে চেনা যায়। কিন্তু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই কোডের ৬টি আলাদা সংখ্যা। এই প্রত্যেকটি সংখ্যার আলাদা অর্থ রয়েছে।
• কোডের প্রথম সংখ্যাটি এলাকা বা জোন বোঝায়
• দ্বিতীয় সংখ্যাটি সাব-জোন বোঝায়
• তৃতীয় সংখ্যাটি জেলার একটি অংশ বোঝায়
• ও শেষ তিনটি সংখ্যা, সেই এলাকার নির্দিষ্ট পোস্ট অফিস চিহ্নিত করে
যেমন কলকাতার একটি এলাকার পিন কোড ৭০০০১৪। এ ক্ষেত্রে ৭ হল কলকাতার সেই জোন, ০০ হল সাব জোন আর ০১৪ বোঝায় পোস্ট অফিস।
উল্লেখ্য, অনেকেই পিন কোডকে জিপ কোড বলে থাকেন। কিন্তু ভারতে জিপ কোড বলে কিছু নেই। আমেরিকায় এই জিপ কোডের ব্যবহার হয়। ভারতে ব্যবহার করা হয় পিন কোড।