কান বিঁধিয়ে দিন ছোট্টবেলায়
Pierce the ears at very early age
কান না বেঁধালে কিন্তু আমরা কানে দুল পরতেই পারব না
কানের লতির ঠিক মাঝখানে ফুটো করলে মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা উন্নত হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর উল্লেখ আছে। এছাড়াও ছোট বয়সে কান ফুটো করলে মস্তিষ্ক কার্যকরী হয়
আচ্ছা, মেয়েরা সবথেকে কি পছন্দ করে বলুন তো? হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন, সাজতে। মেয়েরা সাজতে ভালোবাসে, তার মধ্যে গয়না তো প্রথম পছন্দের। জুয়েলারি-সে সোনা বা হিরে অথবা রুপোরই হোক বা জাঙ্ক জুয়েলারি, পছন্দের তালিকায় থাকে সব ধরণের গয়না। তবে যদি শুধুমাত্র আমার কথা বলি, তাহলে বলব আমি পছন্দ করি কানের বিভিন্ন রকম দুল। সে টপ হোক বা ঝোলা দুল-রকমফেরে সেই দুল-ই আমার কাছে স্টাইল স্টেটমেন্ট। আমার মনে হয়, অনেকের ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য।
তবে আজকে দুলের ভ্যারাইটি নিয়ে আলোচনা করব না। একটু অন্য রকম কথা শোনাবো আপনাদের। কান না বেঁধালে কিন্তু আমরা কানে দুল পরতেই পারব না। তাই এই কান বেঁধানো বা চলতি ভাষায় কান ফুটো করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করব আজকে। প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের দেশের একটি প্রথা আছে, শিশুদের কান বিঁধিয়ে দেওয়া। বিশেষ করে কন্যা সন্তানদের ক্ষেত্রেই এই প্রথা প্রযোজ্য হয়। বৈজ্ঞানিক মত অনুযায়ী এই প্রথা শুধুই সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নয়, স্বাস্থ্যের দিক থেকেও এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।
কানের লতির ঠিক মাঝখানে ফুটো করলে মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা উন্নত হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর উল্লেখ আছে। এছাড়াও ছোট বয়সে কান ফুটো করলে মস্তিষ্ক কার্যকরী হয়। মস্তিষ্কের ডান হেমিস্ফিয়ারের সঙ্গে বাম হেমিস্ফিয়ারের সংযোগ ঘটে কানের লতিতে। সেখানে ফুটো করে দিলে এই প্রক্রিয়া যথেষ্ট সচল হয়। বলা হয়, কান বিঁধোলে শরীরে এনার্জি প্রবাহ বজায় থাকে। দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়।
আয়ুর্বেদ মতে আরও বলা হয়, আমাদের কানের লতির ঠিক মাঝখানটা গুরুত্বপূর্ণ আকুপ্রেশার পয়েন্ট। এই পয়েন্ট বাচ্চার শ্রবণ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে। কানে ফুটো থাকলে হতাশা ও উদ্বেগ কম হয়। হজম ক্ষমতা ভালো হয়, কানে ফুটো থাকলে। তবে মনে রাখতে হবে, মেয়েদের আগে বাম কান ও পরে ডান কান বিঁধানো উচিত এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে এর উল্টোটা করা উচিত।