গ্লোবাল লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন পিচাই এবং ফ্রায়েডম্যান

গুগল-এর সুন্দর পিচাই ইতিমধ্যেই তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে আমাদের ভারতের মাথা উঁচু করেছে বিশ্বের দরবারে। প্রযুক্তিগত উন্নতির ক্ষেত্রে গুগল-এর অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। তার পেছনে পিচাইয়ের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। ইউএসআইবিসি প্রতি বছর প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক উন্নতির নিরিখে পুরস্কার প্রদান করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে এই বছর অর্থাৎ ২০১৯ -এর গ্লোবাল লিডারশিপ এওয়ার্ড-এর জন্য মনোনীত করা হয়েছে গুগল-এর সিইও সুন্দর পিচাই এবং নাসদাক-এর প্রেসিডেন্ট এডেনা ফ্রায়েডম্যানকে

   ইন্দো-আমেরিকান বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ২০০৭ সাল থেকে ইউএসআইবিসি এই গ্লোবাল লিডারশিপ পুরস্কার প্রদান করে আসছে। শীর্ষস্থানীয় কর্তা এবং তাদের সংস্থাকে স্বীকৃতি দিতেই এই পুরস্কার জানিয়েছেন ইউএসআইবিসি-র প্রেসিডেন্ট নিশা দেশাই বিসওয়াল।

তিনি আরো জানান, এই বছর সুন্দর পিচাই এবং এডেনা ফ্রায়েডম্যানকে পুরস্কৃত করতে পেরে তাঁদের যথেষ্ট ভালো লাগছে। তাঁরা বিশ্বাস করেন, এই দুটি সংস্থা প্রযুক্তিতে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে যেমন প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে, তেমনি বাণিজ্যিক দিক থেকেও সাফল্য এনে দিতে পেরেছে। পিচাই ভারতের প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখিয়েছেন ভারতের গ্রামে গ্রামে ডিজিট্যাল পরিষেবা পৌঁছে দিতে পেরেছেন যার ফলে সাধারণ মানুষের পাশাপশি মহিলারাও ডিজিট্যাল প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পেরেছেন। অপরদিকে ফ্রায়েডম্যান ৫০টি দেশে উন্নত প্রযুক্তি পৌঁছে দেবার পাশাপাশি ভারতের স্টক এক্সচেঞ্জে এক অন্য মাত্রা যোগ করতে পেরেছেন।

  এই পুরস্কার প্রদানের খবরে কৃতজ্ঞ হয়ে পিচাই জানিয়েছেন, ভারতের অসামান্য উন্নয়নের জন্য তিনি গর্বিত। একই সঙ্গে আমেরিকার জন্য পণ্য উৎপাদনে অবদান রাখতে পাড়ার জন্য গুগলকে উল্লেখযোগ্যভাবে সহযোগিতা করেছে ভারত। তিনি আরও বলেন, আরও উন্নত প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে চলেছে ভারত।

  ফ্রায়েডম্যান জানান, ইউএসআইবিসি, ভারত-আমেরিকান বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনকে দৃঢ় করার উদ্দেশ্যে যেভাবে কাজ করে চলেছে, তা যথেষ্ট প্রশংসার যোগ্য

  জানা গিয়েছে আগামী ১২ই জুন ওয়াশিংটনের ইউএস চেম্বার অফ কমার্সে আয়োজিত ইউএসআইবিসি ইন্ডিয়া আইডিয়াস সম্মেলনে পিচাই এবং ফ্রায়েডম্যানকে এই পুরস্কার দিয়ে সম্মান জানানো হবে।

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...