বাঙালির কাছে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পুজোর দিনই হল পড়াশোনা শুরু করার সেরা দিন| সেই প্রথা মেনে আজও সরস্বতী পুজোর দিনটিতেই শিশুর হাতেখড়ির ব্যবস্থা করা হয়| কিন্তু শিশুটি যদি একটি হস্তিশাবক হয় তাহলে?
হস্তিশাবক হোক কিংবা মনুষ্য সন্তান তার পড়াশোনার শুভারম্ভ যে একটি শুভদিনেই করতে হবে তা নিয়ে মতবিরোধ নেই কোথাও| তাই ফাল্গুনীর পাঠশালায় যাওয়ার প্রথম দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে দেবীপক্ষের সূচনার দিনকে| মহালয়ার শুভলগ্নেই হাতেখড়ি হতে চলেছে ফাল্গুনী নামক বছর চারেকের হাতিটির|আজ অর্থাৎ মহালয়ার শুভদিনেই পঠনপাঠন শুরু হচ্ছে তার| ইতিমধ্যেই তার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে একজন দুজন নয় তিন তিনজন শিক্ষককে| তাদের মধ্যে একজন প্রধান শিক্ষক এবং দুইজন সহকারী শিক্ষক|
জানা গেছে, কয়েকমাস আগে ঝাড়গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় এই হস্তিশাবকটিকে| লোকালয় থেকে জঙ্গলের পথে ফেরার সময় কোনোভাবে দলছুট হয়ে যায় সে| সেখান থেকে উদ্ধারের পর বনদফ্তরের পক্ষ থেকেপড়াশোনার জন্য তাকে পাঠানো হয় গরুমারায়| সেখানে থেকেই উপযুক্ত কুনকি হাতি হয়ে ওঠার পাঠ নেওয়া শুরু করছে সে| আপাতত একবছর সেখানে থেকেই জহরলালবাবু এবং নিমাইবাবুর কাছে পড়াশোনা শিখবে ফাল্গুনী| প্রধান শিক্ষক অর্থাৎ প্রধান মাহুত দীনবন্ধুবাবুর তত্ত্বাবধানেই চলবে ফাল্গুনীর মাহুতের ভাষা বোঝার প্রশিক্ষণ|
জলদাপাড়ার পরে গরুমারা জাতীয় উদ্দ্যানে গড়ে তোলা হয় হাতিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র| কোনোভাবে দলছুট হয়ে যাওয়া হাতিদের এখানে এনে দেওয়া হয় কুনকি হাতি হয়ে ওঠার উপযুক্ত প্রশিক্ষণ| তাই ঝাড়গ্রামের পিলখানা থেকে উদ্ধারের পর ফাল্গুনীকে পাঠানো হয় এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে| জানা গেছে, ছটফটে স্বভাবের ফাল্গুনীর সাথে ইতিমধ্যেই বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তার তিন শিক্ষকের|