....'হাজার টাকার বাগান খাইলো পাঁচ সিকার ছাগলে' এককালে এই লোকসংগীত বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এবার সেরকমই একটি কান্ড করে ভিলেন হয়ে গেলো ছোট্ট ওজি। ভাবছেন তো কি ব্যাপার? ব্যাপারখানা ঘটেছে বেশ অদ্ভুত ভাবেই। বিদেশ বিভুঁইয়ে পোষ্য রাখা স্টাটাস মেনটেনের সমান। প্রায় প্রতিঘরেই এখন খোঁজ মেলে সারমেয় থেকে শুরু করে মার্জারের। আর সেখানেই ঘটেছে বিপত্তি। প্রাণের অধিক প্রিয় সারমেয় যে টাকার বান্ডিল গায়েব করে দেবে তা যদি মালিক আগে জানতেন তাহলে তিনি আদৌ পোষ্য রাখার কথা ভাবতেন কিনা সন্দেহ আছে।
ল্যাব্রাডর এবং পুডল মিশ্রিত প্রজাতির সারমেয় হলো ল্যাব্রাডুডল। ব্রিটেনের নিউ সাউথ ওয়েলসের জুডিথ রাইটের বাড়িতে বেশ খোশ মেজাজেই থাকেন ৯ বছর বয়সী ওজি। কিন্তু কথায় আছে,অতি সুখ কারোর কপালেই সহ্য হয় না। ওজিরও হয়নি। টাকা চিবিয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ওজি। কিভাবে? সেই গল্পই শোনাবো আজ আপনাদের।
ওজির মালিক জুডিথ জানিয়েছে, তিনি এক ব্যক্তিকে ১৫০০০ টাকা ধার দিয়েছিলেন। সেই ব্যক্তি একটি খামে সেই পরিমান টাকা ভরে লেটার বক্সে রেখে যায়। আর বাইরের দেশে মোটামুটি সকলেই তাদের পোষ্যদের ট্রেনিং দিয়ে রাখে যাতে তাদের দিয়ে প্রয়োজনমতো কাজ করানো যায়। সেই মতো হয়তো ওজিকেও শেখানো ছিল লেটার বক্সে কিছু এলে তা ঘরে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু গন্ডগোল পাকিয়ে ফেলে ওজি। লেটার বক্সে টাকার বান্ডিল দেখে লোভ সামলাতে পারেনি সে। চিবিয়ে চিবিয়ে টাকার একেবারে ষষ্ঠীপুজো করে ছেড়ে দিয়েছে। তাতেই ক্ষান্ত দেননি তিনি। বেশ কিছু নোট আবার গলাধঃকরণও করেছেন।
প্রথমে এই বিষয়টি নজরে আসেনি জুডিথের। যখনই দেখেন তার প্রিয় পোষ্য অসুস্থ বোধ করছে তখনই সে পোষ্যকে নিয়ে দৌড়েছেন চিকিৎসকের কাছে। সেখানেই ওজির পেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মোট ১৬০ পাউন্ড তা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৪,৫০০ টাকার সমান। ৫০০ তো বাকি থেকে গেলো! তার উপর পোষ্যের চিকিৎসা করতে গিয়ে জুডিথের খরচ হয়েছে আরও হাজার খানেক টাকা। একে তো টাকা হারানোর শোক, তার উপর পোষ্যের এই কান্ড সত্যিই বড্ড ভেঙে পড়েছেন জুডিথ। আজও তার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে যে তার আদরের পোষ্য তারই সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছে।