৫ সেপ্টেম্বর ছিল ‘শিক্ষক দিবস’। সারা দেশ জুড়ে পালিত হয় এই দিনটি। প্রত্যেকেই এই দিনটি বিশেষ করে তুলতে চায় প্রত্যেকের জীবনের আদর্শ শিক্ষকের প্রতি। আগে সবাই শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করে, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, ফোন করে অথবা এসএমএস করে শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা জানাতো, দিনটি উদযাপন করতো। সময় বদলায় সঙ্গে চিন্তাধারাও... এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বেশিরভাগ মানুষকেই সোশ্যালমিডিয়ায় নিজেদের জীবনের সেরা শিক্ষক এবং শিক্ষনীয় বিষয়ের ছবি-লেখা শেয়ার করতে দেখা যায়।
তবে এই বছর নতুন কিছু চোখে পড়েছে, যা আপনাকেও ভাবতে বাধ্য করবে, আরে তাই তো, এটা তো আগে ভাবিনি! এই বছর শিক্ষক দিবসের দিন অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন-
হ্যাপ্পি টিচার্স ডে টু ইউটিউব এন্ড গুগল
হ্যাঁ, অনেকেই শিক্ষক দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইন্টারনেট, গুগল, ইউটিউব-কে। নিঃসন্দেহে এটি একটি নতুন চিন্তাধারা। কথাটা যদি ভেবে দেখা যায়, প্রকৃতপক্ষে ব্যাপারটি তো ঠিকই...আজকাল ইন্টারনেট এতটাই সহজলভ্য যে কেউ যেকোনো বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কোনও জ্ঞান আহোরণের জন্য ইউটিউব বা গুগলকেই আমরা আগে প্রশ্ন করি। কাউকে না পেলে, অনেক ক্ষেত্রেই, আপদে-বিপদে-কৌতুহলে একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে ইন্টারনেট-সার্চ ইঞ্জিন।
তাই বলা বাহুল্য ‘গুগল’ বা ‘ইউটিউব’ এর মতো ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন গুলি আমাদের সর্বক্ষণের শিক্ষক। তাই এই চিন্তাধারাতে আপনিও সম্মতি জানাতে পারেন... আর পরবর্তী শিক্ষক দিবসে বলতেই পারেন... “হ্যাপ্পি টিচার্স ডে টু ইউটিউব এন্ড গুগল”!