বাইরের কোনও শিল্পী নয়, আবাসনের বাসিন্দারাই পুজোর যাবতীয় কাজ করে থাকেন। সে মন্ডপের থিম-ই হোক বা প্রতিমা তৈরী, শিল্পী আছেন তাদের আবাসনের মধ্যেই। পুরোণো কলকাতার সকল আবাসিক পুজোর মধ্যে অন্যতম হল পাতিপুকুর সরকারী আবাস শারদোৎসব-এর পুজো। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে জিয়ো বাংলার স্টুডিও-এ উপস্থিত ছিলেন পূজা কমিটির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক রাজা সরকার, দ্বিতীয় যুগ্ম সম্পাদক প্রসেনজিৎ বসাক ও সাধারণ সদস্য পল্লব রায়।
সঞ্চালক রীয়ার সাথে তাদের পুজোর বিষয় জানলাম আমরা আর আমাদের সাথে জানল জিয়ো বাংলার দর্শকরা। ৫৪তম বর্ষে তাদের এবারের থিম নবান্ন উৎসব। তবে মন্ডপে থিম থাকলেও, প্রতিমায় তার কোনও ছাপ থাকবে না। প্রতিমা সাবেকি রূপেই বিদ্যমান। শহরের বুকে নবান্ন উৎসবকে ফুটিয়ে তুলতে মন্ডপ সজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে মাটি ও খড়ের। চতূর্থীর দিন এই পুজোর শুভ উদ্বোধনে, পাড়ার ছোট ছোট ক্ষুদে প্রতিভাদের নিয়ে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।
অষ্টমী ও নবমীর দিন পূজা কমিটির তরফ থেকে মহাভোজের আয়োজন করা হয় যেখানে পাড়া পড়শীরা ছাড়াও দর্শনার্থীরা মায়ের ভোগের স্বাদ উপভোগ করতে পারে। দশমী তে আর বাকি পাঁচটা পুজোর মত তারো সিঁদুর খেলা ও বরণের মধ্যে দিয়ে বিদায় জানায় দুর্গাকে। দমদম বা কবি সুভাষ গামী যে কোনও মেট্রোয়ে উঠে নামতে হবে বেলগাছিয়া, সেখান থেকে অটো করে তেঁতুলতলা বাস স্টপের নিকট অবস্থিত পাতিপুকুর সরকারী আবাস দুর্গোৎসবের পূজা মন্ডপ।