আমাদের সাধারণ মানুষের কোনো কাজে বা শখে ঢের বাইরে ঘুরতে গেলে যে পাসপোর্টের দরকার হয়, তা পেতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। যেমন দীর্ঘকাল ধরে চলে তার প্রসেস, তেমনি রয়েছে তার প্রচুর নিয়ম কানুন। তাই এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ইচ্ছে থাকলেও এই লম্বা প্রসেস-এর জন্য এবং দীর্ঘকাল অপেক্ষার জন্য পাসপোর্ট তৈরির ঝক্কির মধ্যেই যাননা।
সম্প্রতি পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে নিয়ম বেশ কিছু শিথিল করা হয়েছে। এসেছে অনলাইন পাসপোর্ট পরিষেবা। সেই রকম ভাবেই ডাকঘরেও বেশ কিছু পাসপোর্ট তৈরির কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। রাজ্যে আসতে চলেছে অতিরিক্ত আরও ২৩টি ডাকঘর পিএসকে(পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র)। ফেব্রুয়ারির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে এই ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীকে বহু পথ পেরোতে হত। তাই আর যাতে সেই সমস্যা না হয় তার জন্য ২০১৭ সালের গোড়ায় বিদেশ মন্ত্রক জেলার মূল ডাকঘরেও একটি করে পিএসকে খোলার নির্দেশ দেয়। যার নাম পিওপিএসকে(পোস্ট অফিস পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র) হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এরপরে আসানসোলে খোলা হয় রাজ্যের প্রথম পিওপিএসকে। সেটি ছিল দেশের তৃতীয় পিওপিএসকে। তার পর থেকে সব মিলিয়ে রাজ্যের ১৫টি ডাকঘরে পিএসকে খোলা হয়েছে।রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রাজ্যে এখন বিদেশ মন্ত্রকের নিজস্ব পিএসকে রয়েছে তিনটি। বাকি কেন্দ্রের ডাকঘর গুলিতেও যাতে এই ব্যবস্থা বহাল হয় তারই জন্য এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। এইভাবে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে পরিষেবা দিতে পারলে আশা করাই যায়, অনেকেই পাসপোর্ট তৈরী করতে উৎসাহী হবেন।