খেলার মাঠে ট্রফি জেতার থেকেও বড় পাওয়া হয় স্মরণীয় থাকা। এমনি স্মরণীয় একটি ফুটবল ম্যাচ খেলে গেল জঙ্গলমহলের কন্যা ফুটবলররা। ওদের বয়স সীমা ১৬ থেকে ১৭। কলকাতায় ফুটবল খেলে কাপ না জিতলেও মন জিতে নিয়েছে ওদের পারফর্মেন্স। সঙ্গে জঙ্গলমহল দল থেকে সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছে দলের পাঁচ জন খেলোয়ার। খেলার মাঠে দক্ষতায় মুগধ হয়ে দলটিকে প্রস্তাব দেওয়া হল পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবে খেলবার জন্য।
জঙ্গলমহল থেকে আসা খেলোয়াড়দের কারো বাবা হয়ত চাষের কাজ করেন কেউবা মিস্ত্রির কাজ করেন তার ভিতরেও চলছে মেয়েদের পড়াশোনা। চোখে মুখে দারিদ্রের ছাপ কিন্তু মাঠে ফুটবল পায়ের দক্ষতা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয় ফুটবল নিয়ে ওদের ভালোবাসা আর আপ্রাণ চেষ্টার কথা। সরকারি স্কুলে পড়াশোনা আর বাকি সময় ঝাড়গ্রাম সাঁকরাইল পিএস উইমেনস ফুটবল ক্লাবের মাঠে চলে অদম্য ইচ্ছার অনুশীলন। ঠিকমত জার্সি বা জুতো কেনবার ক্ষমতা নেই তবু নিজেদের যোগ্যতাতেই অংশগ্রহণ করতে এসেছিল কলকাতায় আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের মাঠে ‘তেজস্বিনী’র ফুটবল ম্যাচে।
সেমিফাইনালে 'শ্রীভূমি স্পোর্টিং' এবং কোয়ার্টার ফাইনালে 'ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ' দলকে হারিয়ে দেয় তুলসী হেমব্রম, মুগলি সোরেন, বিদেশি সোরেন, মমতা হাঁসদা, সুস্মিতা বর্ধন-রা। 'সশস্ত্র সীমা বল' দলের কাছে ফাইনালে হেরেও 'বেস্ট প্লেয়ার' হিসেবে নির্বাচিত হয় জঙ্গল মহল দলের কন্যারা। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আসা অন্যান্য দলের তুলনায় কম প্রশিক্ষণ পেয়েও এমন সাফল্য নিয়ে বাড়ি ফিরেছে জঙ্গল মহলের ফুটবল কন্যারা । বিশ্ব নারী দিবস উপলিক্ষ্যে পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাব 'তেজস্বিনী' র ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছিল।