উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্তীদের জন্য চালু হল QAB পদ্ধতি। বিষয়টি আগামী বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্তীদের জন্য বেশ উত্তেজক। এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময়ই মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মহুয়া দাস QAB চালু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন সাংবাদিক মহলে। তার পর থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে চারিদিকে বহু জল্পনা শুরু হয়। সম্প্রতি ১০ই জুলাই বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি চালু করলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
সূত্রের খবর, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় হয়ে যাওয়া নানা সমস্যা ও কারসাজিকে বন্ধ করতেই এই ব্যবস্থার প্রণয়ন। ২০২০ সাল থেকে শুরু হবে QAB পদ্ধতি। এখন উচ্চ মাধ্যমিকে এম.সি.কিউ প্রশ্নের সংখ্যা আগের থেকে অনেক বেশি হয়েছে। এই সিস্টেম অনুযায়ী পরীক্ষার প্রশ্ন পত্রের সাথেই অ্যাটাচজড থাকবে উত্তর পত্র। এর দরুন কেউ প্রশ্ন পত্র নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবে না, পরীক্ষা দেওয়া হলে পরীক্ষার্থীরা তাদের অ্যাটাজড প্রশ্ন-উত্তর পত্র নির্দিষ্ট সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে জমা দিয়ে যাবে। আবার আনেক সময় দেখা যায় উত্তরের জন্য একের বেশি পৃষ্ঠা নিয়ে থাকলে অনেক সময় সেই পৃষ্ঠা খুলে যায় বা হারিয়ে যায় সেই সমস্যাও মিটবে বলে মনে করছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয়ে যায় এই সমস্যার সমাধান করতে বাড়িতে প্রশ্ন পত্র নিয়ে যাওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আরও জানা যায় পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষা ক্ষেত্রে ভাঙচুর, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হেনস্থা, দাঙ্গা, পরীক্ষার্থীদের বিরক্ত করলে দুষ্কৃতীদের কড়া শাস্তি হবে জানিয়েছে পর্ষদ।
উচ্চ স্তরে যেভাবে পরীক্ষা হয়ে থাকে সেই পদ্ধতির অনুরূপে যাতে সুষ্ঠুভাবে দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারে সেই কথা ভেবেই পর্ষদ QAB সিস্টেম চালু করতে চলেছে আগামী বছর থেকে ।