রাত বিরেতে রাস্তা ঘাটে মেয়েদের বিপদের কথা মাথায় রেখে নিজের মেয়ে কে ক্যারাটে ক্লাসে ভর্তি করান পিতা কামদেব ভট্টাচার্য। কিন্তু তখন কি আর তিনি জানতেন যে মেয়ের আত্মরক্ষার জন্য শেখানো ক্যারাটে দিয়েই মেয়ে একদিন বিশ্ব জয় করবেন। বোলপুর গার্লস হাইস্কুলের একদশ শ্রেণীর ছাত্রী পারমিতা ভট্টাচার্য। যিনি আজ শুধুমাত্র একজন ছাত্রী-ই নয় একজন যোদ্ধাও বলা যেরে পারে। তবে এই যোদ্ধার বিশ্বজয়ের যাত্রা শুরু হয় বেশ কয়েক বছর আগে থেকে, যখন তিনি ক্যারাটের মাধ্যমে একে একে রাজ্য ও জাতীয় স্তরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে একের পর এক পদক জিতে চলেছেন। তবে রাশিয়া যাওয়ার ছাড়পত্র আসে মণিপুর থেকে। সেখানে আয়োজিত হওয়া জিৎকুনেডু বিভাগে স্বর্ণপদক জেতার সাথে সাথেই সৃষ্টি হয় ইতিহাস। গ্রামবাংলার এক সাধারণ মেয়ে ছাড়পত্র পেল রাশিয়া যাওয়ার। আর সেখানে গিয়েই বাংলা তথা দেশের গর্ব হয়ে দাঁড়াল পারমিতা, সম্প্রতি রাশিয়ায় শেষ হওয়ার আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দেশের প্রতিপক্ষ কে হারিয়ে ভারতকে স্বর্মপদক উপহার দিলেন তিনি। মেয়ের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত, কামদেব বাবু জানান যে শুধুমাত্র নিজের আত্মরক্ষা করার জন্যই মেয়ে কে ক্যারাটে তে ভর্তি করিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার বদলে যে এতবড় একটা উপহার পাবেন, সেটা ভাবতেই পারেন নি তিনি।
ছাত্রীর এই সাফল্যে আনন্দিত প্রশিক্ষক কৌসভ সান্যাল জানান, যে ক্যারাটে তে অনেকেই ভর্তি হন, কিন্তু পারমিতার মত লড়াকু মনভাব খুবই কম ছাত্র ছাত্রী-র থাকে। আর এই লড়াকু মনভাবই তার ছাত্রীকে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।
রাশিয়া জয়ের পর এবার পারমিতাকে আরও বড় মঞ্চে অংশগ্রহন করানের জন্য প্রস্তুতী নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।