Paris Olympics 2024: প্যারিস অলিম্পিক সমস্যার মুখে কেন?

সারা বিশ্বে অ্যাথলেটিকদের সবথেকে বড় প্রতিযোগিতা হল অলিম্পিক। প্রতি চার বছর অন্তর ভিন্ন ভিন্ন দেশ আয়োজন করে এই টুর্নামেন্টের। ২০২৪ সালে ২৬ শে জুলাই থেকে এটি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্যারিসে। সারা বিশ্বের প্রায় ১০,৫০০ জন অ্যাথলেটিক ভাগ নিতে চলেছেন এই প্রতিযোগিতায়। কিন্তু এই বছরের প্যারিস অলিম্পিক প্রতিযোগিতার আয়োজক দেশ সমস্যার মুখে পড়েছে।

Highlights:

১। সুরক্ষার ব্লু প্রিন্ট চুরি হয়েছে।

২। ফ্রান্সে বিচ্ছিন্ন প্রশাসন।

৩। অত্যাধিক খরচ।

সুরক্ষার ব্লু প্রিন্ট চুরি হয়েছেঃ

প্যারিস অলিম্পিক ইভেন্টে সুরক্ষাব্যাবস্থার যে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল, তা চুরি গেছে। পুলিশের মতে, সমস্ত ডকুমেন্টস একজন ইঞ্জিনিয়ারের ল্যাপটপে ছিল। ট্রেন বদলানোর সময় ল্যাপটপ সহ তার ব্যাগটি চুরি হয়ে যায়। ফলে ইভেন্ট কর্তৃপক্ষ এখন সমস্যার মুখে। সঠিক সময়ে ব্লু প্রিন্টটি উদ্ধার করা না গেলে শেষ মুহুর্তে সমস্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা বদলাতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্ট সঠিক ভাবে চালনা করতে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হবে।

যাতায়াতে অসুবিধাঃ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্যারিসে যাতায়াত ব্যাবস্থা কিছুটা সমস্যার। কিন্তু অলিম্পিকের কারণে প্রায় হাজার হাজার মানুষ এই সময় প্যারিসে ভ্রমণ করবে। দর্শকরা যাতে সহজেই এক স্টেডিয়াম থেকে অন্য স্টেডিয়ামে যেতে পারে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও প্যারিসের যানজটের সমস্যা দূর না করতে না পারলে আগত দর্শকরা বিপদে পড়বে।

অত্যাধিক খরচঃ

প্রত্যেক বছর অলিম্পিক টুর্নামেন্টে প্রতিযোগী সংখ্যা বৃদ্ধি হয়ে চলেছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে খরচও বৃদ্ধি হয়েছে। বিগত কিছু বছর ধরে এই খরচ বাড়তে বাড়তে ৩৬ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। জনতার কর ও টিকিট বিক্রি বাবদ একটি বড় অঙ্কের টাকা জোগার করা গেলেও বাকি খরচ কেমনভাবে সামাল দেয় কর্তৃপক্ষ, সেটাই দেখার।

নদী বিষয়ক সমস্যাঃ

সাঁতার, অলিম্পিক খেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। কিন্তু অলিম্পিকের সাঁতারের ইভেন্ট, যেমন ট্রায়াথলন, ম্যারাথন ইত্যাদি বাতিল অন্য এলাকায় স্থানান্তরিত হতে পারে। কারণ সেন নদীতে উচ্চ মাত্রায় অ্যাশেরিকিয়া কোলাই পাওয়া গেছে। এটি এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। ই. কোলাই শরীরে বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে প্রতিযোগীদের সুরক্ষা বিঘ্নিত হবে। নদী পরিষ্কার করার জন্য ইতিমধ্যেই ১.৫ বিলিয়ন বিনিয়োগ করা হলেও এবিষয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।

ফ্রান্সে বিচ্ছিন্ন প্রশাসনঃ

বামপন্থী দলের জোট ‘নিউ পপুলার ফ্রন্ট’ পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে প্রথমে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর দল রেনেসাঁ পার্টির নেতৃত্বাধীন এনসেম্বল জোট। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল, টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী আটাল। কিন্তু তিনি ইস্তফা দিতে চাওয়ায় তৈরি হয়েছে সমস্যা। নতুন সরকার গঠনের জন্য কোনও জোটই অন্য কোনও জোটকে সমর্থনের কথা জানায়নি। আবার একক ভাবে সরকার গঠন করতে পারবে না অন্য কোনও জোট। এক্ষেত্রে যদি ২৬ শে জুলাইয়ের আগে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন সম্পূর্ণ না হয় তবে টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষকে রাজনৈতিক সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।  

বিমানবন্দরের কর্মীদের প্রতিবাদঃ

বিমানবন্দরের কর্মীরা তাদের প্রাপ্য বোনাস ও নানান সমস্যার প্রতিবাদে বিমানবন্দরে বনধের হুমকি দিয়েছে। প্যারিসে টুর্নামেন্ট চলাকালীন বিমানবন্দরে প্রায় ৩ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করবে। সেক্ষেত্রে বিমানবন্দরে এমন অবাঞ্ছিত পরিবেশ তৈরি হলে প্রতিযোগী এবং দর্শক উভয়েই বিপদে পড়বে। এই পরিস্থিতি সঠিক করবার উদ্দ্যেশে তৎপর হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...