বিকেলের ভিক্টোরিয়া, ফুচকা আর কলকাতার টান। সেই টানে ফুচকার তেঁতুল-আলু-লঙ্কার স্বাদ যেন আরও লোভনীয় হয়ে যায়। অনেকটা এই শহরের মতোই। বারবার তাঁকে পর্দায় দেখেছে কলকাতা, এবার এই শহরেরই রাজপথে দেখা গেল তাঁকে। মধ্য জুনের বিকেলে জমিয়ে ফুচকা খাওয়ায় ব্যস্ত। হ্যাঁ, অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে এভাবেই আবিষ্কার করল কলকাতা।
সাদা কুর্তা, বেজ কালারের ট্রাউজার আর রোদচশমায় ঢাকা চোখ। তারকা হয়েও ভীষণভাবে মাটির কাছাকাছি। তাঁর সঙ্গী কলকাতারই এক মানুষ। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
ঘুরে দেখলেন শহর। একেবারে ট্যুরিস্ট টানে। নিরাপত্তা বেষ্টনির দমবন্ধ পাহারা সেখানে নেই। ফুচকা খেলেন আর পাঁচ জনের সঙ্গে মিশে!
কলকাতার কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা বলেন, “ কলকাতায় আসাটা সব সময় খুব স্পেশ্যাল। তারওপর পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় শহর কলকাতারই মানুষ, তাই আসতেই হত আমায়। আমি আশা করছি গঙ্গারামকে ভালোবাসবে মানুষ”।
"শেরদিল: দ্য পিলিভিট সাগা" ছবির প্রচারে কলকাতায় এসেছিলেন অভিনেতা। ছবির পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। এই ছবি তাঁর ড্রিম প্রজেক্ট।
‘শেরদিল’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্র গঙ্গারাম। সেই ভূমিকাতেই দেখা যাবে পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে। নগরায়াণ, মানুষ-প্রাণী সংঘাত, দারিদ্র আর লড়াইয়ের ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে ছবি।
জঙ্গলের সীমান্তে এক গ্রামে থাকে গঙ্গারাম। সেখানে চাষ করে লাভ না হওয়ায় গ্রামবাসীরা টাকা রোজগারের এক অন্য পথ বেছে নেয়। যদি গ্ৰামে কেউ বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারান তাহলে সরকার মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে। তাই গ্ৰামের বয়স্কদের অরণ্যে পাঠানো হতো। আর কারুর মৃত্যু হলে তাকে চাষের জমিতে রেখে এসে সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হতো। এমনই একদিন গঙ্গারাম নামের একজনকে পাঠানো হয় এই কাজের জন্যে। তবে বাঘের খপ্পরে না পড়লেও চোরাশিকারির খপ্পরে পড়ে যায় গঙ্গারাম।
ছবির কাহিনি লিখেছেন সৃজিত নিজেই। ছবিতে গান লিখেছেন গুলজার। গেয়েছেন কেকে।
ছবি মুক্তি পাবে ২৪ জুন।