পানিহাটির দণ্ড মহোৎসব

পানিহাটি, গঙ্গাতীরবর্তী এক শহর যার ইতিহাস হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো। বিপ্রদাস পিপলাইয়ের 'মনসামঙ্গল', জয়ানন্দের 'চৈতন্যমঙ্গল', বৃন্দাবন দাসের 'চৈতন্য ভাগবত', কৃষ্ণদাস কবিরাজের 'শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত'-র মতো পুরোনো সাহিত্যে পানিহাটির নাম পাওয়া যায়। তবে এই জায়গার নামের উৎপত্তি নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে বিস্তর। 

বহু ধর্মের প্রাচীন মিলনক্ষেত্রের দৃষ্টান্ত হিসেবেও পানিহাটির খ্যাতি রয়েছে। কাঠিয়া বাবার আশ্রম, ভোলানন্দ গৌড়ীয় মঠ, বালক ব্রহ্মচারী আশ্রম যেমন রয়েছে এখানে, পাশাপাশি রয়েছে মোল্লাহাট মসজিদ, ঘোলাবাজার মসজিদ, মানিক পির কিংবা খোনকা পিরের আস্তানা। গঙ্গার তীরের একাধিক ঘাট পানিহাটির আরেক আকর্ষণ। জহর সাধুখাঁর ছোট ঘাট, গৌরীমণি দাসের ঘাট, মালাপাড়া ঘাট, শ্রীগৌরাঙ্গ ঘাট, মদন বসুর ঘাট, তাঁতপটি ঘাট, প্যারি বোষ্টম ঘাট ইত্যাদি; নাম বলে শেষ করা যাবে না। এত বেশি ঘাটের আধিক্যের  জন্য,'শনিবারের চিঠি' পত্রিকায় যতীন্দ্র মোহন দত্ত লিখেছিলেন, পানিহাটির মতো এতগুলো গঙ্গার ঘাট সম্ভবত বারাণসী ছাড়া আর কোথাও নেই। গত শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত পানিহাটিতে প্রায় ৩৩টি ঘাট অক্ষত ছিল, সেই হিসেব করলে কাশির পরের স্থানটির দাবিদার  একমাত্র পানিহাটিই !

কিংবদন্তি অনুযায়ী, পানিহাটির আদি নাম 'পণ্যহট্ট'। যেহেতু এই জায়গা খুব প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবসা বাণিজ্যের এক জমজমাট কেন্দ্র ছিল, স্বভাবতই 'পণ্যহট্ট' নামটিকে অপ্রাসঙ্গিক মনে হয় না। তদানীন্তন বাণিজ্যের জন্য বর্ধমানের কাটোয়া, দাঁইহাট, কালনা, হুগলির, চুঁচুড়া, ফরাসডাঙা, সপ্তগ্রাম, মেদিনীপুরের তাম্রলিপ্ত; ইত্যাদি জায়গা থেকে পণ্য বোঝাই নৌকো এসে ভিড়ত পানিহাটির আমদানি ঘাটে। জনশ্রুতি রয়েছে, যশোরের বিখ্যাত পেনেটি ধানের সরবরাহ এখান থেকে করা হত বলে, এই জায়গার প্রথম নাম হয় পেনটি আর এই 'পেনেটি' থেকেই 'পানিহাটি' নামটির আগমণ। আরেকটি জনশ্রুতি হল, 'পণ্যহট্ট' নয়, পানিহাটির নাম এসেছে 'পুণ্যহট্ট' থেকে।

সুপ্রাচীন কাল থেকেই পানিহাটি ঈশ্বরবিশ্বাসী মানুষদের কাছে পুণ্যতীর্থভূমি। গৌড়রাজ বল্লাল সেনের সময়ে এই অঞ্চল ছিল বৌদ্ধ তান্ত্রিক উপাসনার একটি কেন্দ্র। তারপর শৈব সাধক, তান্ত্রিক, নাথপন্থী ভক্তদের সাধনার জন্যও প্রসিদ্ধ ছিল আজকের এই পানিহাটি।

ইতিহাস ঐতিহ্য আর অধ্যাত্মবাদের এক অদ্ভুত মিশেল হলো পানিহাটির দণ্ড মহোৎসব, ইতিহাসের সমাপতনে এই উৎসব মিলিয়েছে চৈতন্যদেব এবং পরমহংসদেবকে। বহু শতাব্দী ধরে চলে আসা এই উৎসব সিপাহীবিদ্রোহ থেকে শুরু করে পলাশী, দেশভাগ এমনি কি ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধও দেখে ফেলল।

ষোড়শ শতকে চৈতন্যদেবের সময় এই পানিহাটিতে বৈষ্ণব আন্দোলনের যথেষ্ট প্রভাব পরে। পানিহাটির যে ঘাটে প্রথম চৈতন্যদেব পা রেখেছিলেন, সেটা শ্রীচৈতন্য ঘাট নামে পরিচিত। ১৯০৫ সালের ভূমিকম্পে এই ঘাট ভেঙে যায়। তবে যে গাছের নিচে চৈতন্যদেব এবং নিত্যানন্দ বসে ধর্মপ্রচার করেছিলেন, এই 'অক্ষয় বটবৃক্ষ' এখনও অক্ষত, কালের গর্ভে হারিয়ে যায়নি। 

গঙ্গাতীরে প্রত্যেক বছর জৈষ্ঠ মাসে দণ্ড মহোৎসব মেলা আর কার্তিক মাসে স্মরণ মহোৎসব মেলা অনুষ্ঠিত হয়, যা আজ চৈতন্যদেবের স্মৃতিকে শ্বাশত করে রেখেছে আর আবহমান রাখবেও। চৈতন্যদেব যেদিন প্রথম এই পানিহাটিতে এসেছিলেন, তার স্মৃতিতেই উক্ত সময়কালেই আয়োজিত স্মরণ মহোৎসবের মেলা। দণ্ড মহোৎসবের পিছনে রয়েছে আরেক ইতিহাস। হুগলির সরস্বতী নদীর তীরে কৃষ্ণপুরের জমিদার গোবর্ধন দাসের ছেলে রঘুনাথের অল্প বয়স থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে  পড়েছিল। এক সময় তিনি বাবা-মা এবং অল্প কিছুদিন হলো বিয়ে করা নববধূকে ছেড়ে চৈতন্যদেবের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে থাকেন। অবশেষে পানিহাটিতে তিনি চৈতন্যদেবের দেখা পান এবং তাঁর কাছে দীক্ষা নেওয়ার আবদার করেন। কিন্তু চৈতন্য তাঁকে দীক্ষা নয়, দণ্ড (শাস্তি) দেন, কারণ তিনি পরিবারকে দুঃখ দিয়ে সংসার ত্যাগ করে চলে এসেছিলেন,সেই অপরাধে দণ্ড প্রাপ্তি হয় তার। সেই শাস্তি ছিল ভক্তদের পেট পুরে খাওয়াতে হবে চিঁড়ে-দই-ফল। প্রত্যেক বছর দণ্ড মহোৎসবের মেলায় সেই অভিনব শাস্তিরই উদযাপন হয়। 

সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি কিংবদন্তি  অনুযায়ী,তখন সন্ন্যাস নিয়ে শান্তিপুরে ফিরেছেন শ্রীচৈতন্য। দলে দলে ভক্ত অনুরাগী মানুষের আসছেন দেখতে। ভক্তদের জোয়ারে শান্তিপুর জনসমুদ্র। হঠাৎ এক সকালে শান্তিপুরের গঙ্গার ঘাটে ভিড়ল একখানি সুসজ্জিত নৌকা। এক যুবক নেমে এসে সবিনয়ে জানতে চাইলেন, 'কোথায় ওই নবীন সন্ন্যাসীর দেখা মিলবে?' ঘাটের মানুষ জানালেন— পথের সব মানুষ যে দিকে চলেছেন, সেই পথেই তাঁর সাক্ষাৎ মিলবে।

ওই আগন্তুক যুবকটির  নৌকো, মূল্যবান পোশাক, লোকলস্কর দেখে তাঁকে  নিতান্ত সাধারণ বলে মনে হয়নি। সন্ধান পাওয়া যায় যে, অন্যতম প্রধান নৌ-বাণিজ্য কেন্দ্র সপ্তগ্রামের বিখ্যাত ধনী বণিক হিরণ্য গোবর্ধনের একমাত্র বংশধর ওই যুবক। তাঁদের বার্ষিক বাণিজ্যিক  উপার্জন প্রায় বারো লক্ষ টাকা।ওই যুবক চৈতন্যদেবকে দেখে সম্মোহিত, সিদ্ধান্ত নিলেন সন্ন্যাস নেবেন। সে কথা চৈতন্যদেবের কানে পৌঁছতেই ফল হল উল্টো। তিরস্কার করে ফিরিয়ে দিলেন যুবককে। গোটা ঘটনার সাক্ষী থাকলেন চৈতন্য সখা নিত্যানন্দ। এরপর চৈতন্যদেব পুরী চলে গেলেন। অন্যদিকে বিষয়কর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে থাকেন যুবক। বিয়ে দিয়েও সংসারে তাঁর মন ফেরানো গেল না!

এক বছর পরে পুরী থেকে নিত্যানন্দকে নাম প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে বঙ্গদেশে পাঠালেন শ্রীচৈতন্য। নিত্যানন্দ এসে উঠলেন সেই পণ্যহট্ট বা পানিহাটির রাঘবভবনে। নাম-সংকীর্তনের কাজ শুরু করলেন নিত্যানন্দ। পানিহাটিতে রোজই উৎসব। গঙ্গার পাড়ে এক বট গাছের তলায় নিত্যানন্দ কথা বলেন ভক্তদের সঙ্গে, কখনও কীর্তনের সঙ্গে নাচেন। পিছনে বসে এই সব ঘটনা প্রতক্ষ্য করেন ওই যুবক। একদিন তাঁকে ডেকে নিলেন নিজের কাছে। তারপর একদিন নিত্যানন্দ তাঁকে আদেশ দিলেন সমবেত ভক্তদের জন্য আহারের ব্যবস্থা করতে। ধনী যুবক প্রত্যেক ভক্তের জন্য মাটির হাড়িতে পর্যাপ্ত চিড়ে দই ফলের আয়োজন করেন। দিনটি ছিল জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা ত্রয়োদশী তিথি। সেই থেকে বৈষ্ণব সমাজে দিনটি 'দণ্ড মহোৎসব' নামে পরিচিত। আর, সেই যুবক হলেন পরবর্তী কালের অন্যতম চৈতন্যপার্ষদ দাস রঘুনাথ। ধনী ভক্তকে দিয়ে নিত্যানন্দ অর্থদণ্ডের ছলে মহোৎসবের আয়োজন করেছিলেন বলে এই উৎসবের নাম দন্ড মহোৎসব। 

প্রতি বছর উক্ত তিথিতে উৎসবটি অনুষ্ঠিত  হয় পানিহাটিতে। বিতরণ করা হয় চিঁড়ে দই। এছাড়াও বিভিন্ন বৈষ্ণব মঠমন্দিরে উৎসব পালিত হয়। রঘুনাথ দাসের পর পানিহাটি নিবাসী রাঘব পণ্ডিত এই উৎসব করতেন। পরবর্তী কালে পানিহাটির সেন পরিবার এই উৎসব করে। একে অনেকেই চিঁড়ে-দধী মহোৎসবও বলে থাকেন, প্রায় পাঁচ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে এই উৎসব চলে আসছে।

শ্রীশ্রীঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কয়েকবার এই উৎসবে যোগদান করেন, কথামৃততে যার প্রমান পাওয়া যায়। বিবরণ ছিল অনেকটা এই রকম "ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পেনেটীর মহোৎসবক্ষেত্রে বহুলোকসমাকীর্ণ রাজপথে সংকীর্তনের দলের মধ্যে নৃত্য করিতেছেন। বেলা একটা হইয়াছে। আজ সোমবার, জ্যৈষ্ঠ শুক্লা ত্রয়োদশী তিথী, ১৮ই জুন, ১৮৮৩। সংকীর্তনমধ্যে ঠাকুরকে দর্শন করিবার জন্য চতুর্দিকে লোক কাতার দিয়া দাঁড়াইতেছে। ঠাকুর প্রেমে মাতোয়ারা হইয়া নাচিতেছেন, কেহ কেহ ভাবিতেছে, শ্রীগৌরাঙ্গ কি আবার প্রকট হইলেন! চতুর্দিকে হরিধ্বনি সমুদ্রকল্লোলের ন্যায় বাড়িতেছে। চতুর্দিকে হইতে পুষ্পবৃষ্টি ও হরির লুট পড়িতেছে।"

নবদ্বীপ গোস্বামী প্রভু সংকীর্তন করিতে করিতে রাঘবমন্দিরাভিমুখে যাচ্ছিলেন। এমন সময়ে ঠাকুর কোথা হইতে তীর বেগে আসিয়া সংকীর্তন দলের মধ্যে নৃত্য করিতেছেন। এটি রাঘব পণ্ডিতের চিঁড়ার মহোৎসব। শুক্লাপক্ষের ত্রয়োদশী তিথীতে প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে থাকে। দাস রঘুনাথ প্রথমে এই মহোৎসব করেন। রাঘব পণ্ডিত তার পর থেকে আয়োজন করে আসছেন । দাস রঘুনাথকে নিত্যানন্দ বলিয়াছিলেন, 'ওরে চোরা, তুই বাড়ি থেকে কেবল পালিয়ে পালিয়ে আসিস, আর চুরি করে প্রেম আস্বাদন করিস-আমরা কেউ জানতে পারি না! আজ তোকে দণ্ড দিব, তুই চিঁড়ার মহোৎসব করে ভক্তদের সেবা কর।'

ঠাকুর প্রসঙ্গে  আরো উল্ল্যেখ পাওয়া যায়,"ঠাকুর প্রতি বৎসরই প্রায়ই আসেন, আজও এখানে রাম প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে আসিবার কথা ছিল। রাম সকালে কলিকাতা হইতে মাস্টারের সহিত দক্ষিণেশ্বরে আসিয়াছিলেন। সেইখানে আসিয়া ঠাকুরকে দর্শন ও প্রণামান্তর উত্তরের বারান্দায় আসিয়া প্রসাদ পাইলেন। রাম কলিকাতা হইতে যে গাড়িতে আসিয়াছিলেন, সেই গাড়ি করিয়া ঠাকুরকে পেনেটীতে আনা হইল। "এই প্রসঙ্গে, শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভুর কৃপাধন্য এই গৃহত্যাগী ভক্ত রঘুনাথ একবার তার পর্ণকুটিরে ভাগবত পাঠকরে শুনিয়েছিলেন মহাপ্রভুকে।ভাবাবেগে আপ্লুত মহাপ্রভু রঘুনাথ গোস্বামীকে '"ভাগবতাচার্য্য" উপাধি দেন।

কলকাতার নিকটবর্তী প্রাচীন জনপদ বরানগরের সেই পর্ণকুটির আজ বরানগর পাঠবাড়ি নামে প্রসিদ্ধ যা একই সঙ্গে দুজন যুগপুরুষের আশীর্বাদধন্য , শ্রীচৈতন্য এবং শ্রীরামকৃষ্ণ। গঙ্গাতীরস্থ যে পর্ণকুটিরে শ্রীচৈতন্য পদার্পন করেছিলেন সেখানে তাঁর পাদুকা আজও সংরক্ষিত আছে; রয়েছে বৈষ্ণব সমাজের বহু প্রাচীন ও দুষ্প্রাপ্য পুঁথি। প্রায় পাঁচ শতকেরও বেশি সময় ধরে পানিহাটিতে চিড়া দধি দন্ড মহোৎসব পালিত হয়ে আসছে। ঐ দিনে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের ভক্তরা মহাপ্রভুর জন্য "রাঘবের ঝালি" প্রস্তুত করেন। যাতে থাকে এই গঙ্গাজল নাড়ু। নারকেলের সাদা অংশ বেটে গরমজলে ধুয়ে তারপর চিনির জল ও এলাচ খুব কম আঁচে ফুটিয়ে চিনির রস গাঢ় করে ঐ নারকেল বাটা তারমধ্যে মিশিয়ে একটি পাক বানানো হত। এই পাক থেকেই  নাড়ু এবং ছাঁচে ফেলে সন্দেশ দুইই বানানোর প্রচলন ছিল।

 

শ্রী শ্রী কৃষ্ণদাস কবিরাজ লিখিত চৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থে এই গঙ্গাজলি নাড়ুর উল্লেখ পাওয়া যায়। রথযাত্রার সময় মহাপ্রভু জগন্নাথ দেবের সঙ্গে মিলিত হবার উদ্দেশ্যে শ্রীক্ষেত্রে যেতেন। প্রায় একমাস আগে যাত্রা করতে হত। যাওয়ার আগে পানিহাটিতে ভাগবতাচার্য্য রাঘব পন্ডিতের বাড়িতে নির্দেশে তার বাল্য বিধবা ভগিনী দময়ন্তী মহাপ্রভুর যাত্রাপথের রসদ হিসেবে নানা ব্যঞ্জন, শুকনো মিষ্টি, আচার প্রভৃতি বানিয়ে ঝোলায় ভরে দিতেন। চৈতন্যদেবের প্রিয় এইসব উপাদেয় খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম হল গঙ্গাজলি নাড়ু। 

 

​​ ১৫৩৫-৫০ সালে লেখা বৃন্দাবন দাসের চৈতন্যভাগবতে পাওয়া যায় :

হেনমতে পানিহাটি গ্রাম ধন্য করি।

আছিলেন কথোদিন শ্রী গৌরাঙ্গ হরি।।

তবে প্রভু আইলেন বরাহ নগরে।

মহাভাগ্যবন্ত এক ব্রাহ্মণের ঘরে।।

সেই বিপ্র বড় সুশিক্ষিত ভাগবতে।

প্রভু দেখি ভাগবত লাগিলা পড়িতে ।।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...