নদীয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিন চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলী, পূর্ব মেদিনীপুর, কোচবিহার, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান-এই নয়টি জেলাকে রাজ্যে প্রাথমিকভাবে সম্পুর্ন স্বচ্ছ জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে|
আরো পাঁচটি জেলা যথাক্রমে মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিন দিনাজপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর খুব শীঘ্রই সম্পুর্ন স্বচ্ছ জেলা হিসেবে ঘোষিত হবে| কিন্তু শুধু স্বচ্ছ জেলা ঘোষণা করলেই তো হবেনা| সেই জেলাগুলি যাতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পারে তার ব্যবস্থাও তো করতে হবে| এই লক্ষ্যে রাজ্য পঞ্চায়েত এবং গ্রামীন উন্নয়ন দফতর যৌথ উদ্দ্যোগে একটি অভিনব উপায় বের করেছে| রাজ্যের বিভিন্ন জেলার লোকশিল্পীদের দিয়ে গান গাইয়ে স্বচ্ছতা অভিযানের প্রচার চালানোর কথা ভাবা হয়েছে| কোনো প্রকল্পের অভিযানে লোকশিল্পীদের ব্যবহার রাজ্যে এই প্রথম| বাউল, কীর্তন, ভাওয়াইয়া, ঝুমুর এবং ছৌ নাচের মাধ্যমে এই অভিযানের প্রচার চালানো হবে| সম্প্রতি, হাওড়ায় ৫ দিনের একটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল, যেখানে প্রায় ১০০ জন লোকশিল্পী অংশগ্রহন করেছিলেন| হাওড়া জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলা শাসক, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কমিশনার সহ হাওড়ার বিভিন্ন সিনিয়ার অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন এই ওয়ার্কশপ-এ| পানীয় জল এবং পরিচ্ছন্নতা মন্ত্রকের অধিকর্তা অক্ষয় কুমার রাউত ওই সময় কলকাতা সফর এ ছিলেন, তিনিও এই ওয়ার্কশপ-এ গিয়ে এই অভিনব পরিকল্পনার ভূয়সী প্রশংসা করেন|
লোকশিল্পীদের থিম দিয়ে দেওয়া হবে এবং তারা সেইমত গান বাঁধবেন| গ্রামে শৌচাগার বানানোর পাশাপাশি তা সময়মত মেরামত করে ব্যবহারযোগ্য রাখা গুরুত্বপূর্ণ, গ্রামে অতিরিক্ত প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে গৃহপালিত পশু মারা যাচ্ছে তাই সবজির খোসা প্লাস্টিকে যাতে না ফেলা হয় তা বোঝানো, নোংরা কাজ করে এবং খাওয়ার আগে হাত পরিষ্কার করার অভ্যেস, ইত্যাদি গানের মাধ্যমে মানুষকে বোঝানোই হবে লোকশিল্পীদের কাজ|