নর্থের পূজা মানেই ঘরোয়া পরিবেশ আর তার সাথে থাকে দেদার আড্ডা। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে জিয়ো বাংলার ষ্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন পল্লিবাসী দুর্গোৎসব কমিটির দুইজন সদস্য শ্রী অভিষেক দত্ত এবং শ্রী শঙ্খ ঘোষ। সঞ্চালিকা নবনীতার সাথে আড্ডার ছলে তারা ভাগ করে নিলেন তাদের পুজো সম্পর্কে নানা তথ্য। তারা জানালেন, থিমের তুলনায় সাবেকিয়ানাতেই অধিক বিশ্বাসী এই ক্লাব। ৪৯ তম বর্ষে দাঁড়িয়ে এই ক্লাবের এবছরের ভাবনা আধুনিক বাংলাকে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা।
প্রসিদ্ধ এক মন্দিরের আদলে তৈরী হচ্ছে তাদের এবছরের পূজা মণ্ডপ। ইয়ং ব্রিগেডের হাত ধরে এগিয়ে চলা এই পুজো একেবারেই ঘরোয়া। ১৯১০-১১ সালের বাংলাকে দর্শনার্থীদের সামনে উপস্থাপিত করতে চাইছে ক্লাব। তারা জানালেন, তাদের এই পুজোতে পাড়ার মহিলা এবং শিশুদের অংশগ্রহণও হয় চোখে পড়ার মতো। চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই তাদের আন্তরিকতা থাকে অনেকটাই বেশি। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিবছর নবমীর দিনে তাদের ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রায় হাজার জনকে ভোগ খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করা হয়। খুব সাড়ম্বর না থাকলেও পুজোর প্রতিটি দিন ক্লাবের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। ক্লাবের নিজস্ব নাট্যদলের অভিনীত নাটকই এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। তারা জানালেন, তাদের এই ঘরোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন সর রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, শ্রীমতি স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত এবং সোহিনী সেনগুপ্তের মতো ব্যক্তিত্বরা। পুজোর সময় দর্শনার্থীদের অতিরিক্ত ভিড় সামলানোর কাজে বহাল থাকতে দেখা যায় পাড়ার ইয়ং ব্রিগেডকেই। তাই সাবেকিয়ানায় বিশ্বাসী এই ক্লাবের পুজো কিন্তু এইবছর কোনোভাবেই মিস করা যাবে না।