বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর পুজো এলেই বাঙালিকে আটকায় কারা! কলকাতা সহ গোটা বাংলার রাস্তায় ঢলে পড়ে মানুষের ভিড়। বিভিন্ন প্যান্ডেলের থিমে মোহিত হন অনেকে, আবার মায়ের সাবেকিয়ানায় মুগ্ধ চিত্তেও থাকেন অনেকে। কিন্তু একবারও কি তাদের কথা ভাবা হয় যারা এই পুজোর সময়টিতেই নিজেদের জীবিকার মূল সময় হিসেবে ধরেন? যারা খাবারের স্টল বসান, যারা প্যান্ডেল তৈরি করেন, যারা ঢাক বাজান – তাদের কথা কজনই বা আমরা ভাবি। আর তাই এবার তাদের জন্য থিম প্রস্তুত করতে চলেছে পল্লী মঙ্গল সমিতি।
‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত হয়েছিল পল্লী মঙ্গল সমিতির সদস্যরা। সঞ্চালক শ্রেষ্ঠার সাথে নিজেদের পুজো নিয়ে কথা বললেন ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবির বোস ও অয়ন সরকার এবং ক্লাবের জনসংযোগ আধিকারিক সর্বজিত রায়।দক্ষিণ কলকাতার এই পুজো বিখ্যাত তাদের বিশাল ভিড় ও মেলার জন্য। এই বছর পল্লী মঙ্গল সমিতির ৬০তম পুজাবার্ষিকীতে থিম হিসেবে উঠে আসছে সেই সকল মানুষদের কথা যারা এই পুজোতেই নিজেদের মূল জীবিকা অর্জন করে থাকে। এই বছর তাদের থিমের নাম ‘দায়বদ্ধতা’। থিম আর্টিস্ট সৌরভ নাগ ও প্রতিমা শিল্পী সৈকত বসুর সৃষ্টিকল্পে কেমন হবে এই পুজোমন্ডপ এখন সেটিই দেখার।পাশাপাশি এবছর তাদের পুজোর নয়া চমক হিসেবে থাকছে ক্যাকটাস-এর সিধুর আবহসঙ্গীত ও থিম সং।
এছাড়াও মানবিকতার দিক থেকেও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় তারা। উদ্বোধনের দিন এলাকার সকল দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ করবে তারা। পাশাপাশি অষ্টমীতে এলাকার সকল দুঃস্থকে প্যাকেটে করে ভোগ দেওয়া হবে।দক্ষিণ কলকাতায় প্যান্ডেল হপিং করতে গেলে কিন্তু আসতেই হবে পল্লী মঙ্গল সমিতির পুজোয়। দমদম কিংবা কবি সুভাষগামী কোনও মেট্রোয় উঠে নামতে হবে রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে সাউথ সিটি মল যাওয়ার কোনও বাস ধরে নামবেন তালতলা ইডিএফ গ্রাউন্ডে। স্টপেজে নামলেই পেয়ে যাবেন তাদের পুজো।