গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-এর বাসে আত্মঘাতী হামলা করে জওয়ানদের নির্বিচারে হত্যা করে পাকিস্তানি জঙ্গিরা। তার প্রতিশোধ নিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটির উপর বিমান হামলা চালায় ভারত। এই ঘটনার পরই ভারতের অসামরিক বিমানের জন্যও আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, পরে ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ রাখার মেয়াদ ২৮ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয় পাকিস্তান। ভারতীয় বিমান বাহিনীর এয়ার চিফ মার্শল বিএস ধানোয়া গোয়ালিয়রে বায়ুসেনার এক সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তে মন্তব্য করে বলেন যে এটি পাকিস্তানের নিজস্ব সমস্যা, তাদের অর্থনীতির নিম্নগতির কারণেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা বন্ধ করলেও ভারতীয় বায়ুসেনা কখনওই অসামরিক বিমান চলাচলের পথ বন্ধ করবে না।
ভারতের তরফ থেকে আবেদন করা হয়, পরে যাতে পাকিস্তানের আকাশসীমা খুলে দেওয়া হয়। আর এরপরই তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, যতক্ষণ না পর্যন্ত এয়ারবেস থেকে ভারত যুদ্ধবিমান সরিয়ে নিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের বাণিজ্যিক বিমানের জন্য খোলা হবে না এয়ারবেস। ভারত নিজের যুদ্ধবিমানগুলি সরিয়ে নিলে তবেই পাকিস্তান তার আকাশসীমা খুলবে। পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের ফলে একাধিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিমান পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করতে পারছিল না। এর জন্য ঘুরপথে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হচ্ছিল।
অবশেষে পাঁচ মাস পর এই মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটি। পি.সি.এ.এ-র তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এই মুহূর্ত থেকে পাকিস্তানের আকাশ খুলে দেওয়া হল সব রকম অসামরিক বিমান চলাচলের জন্যে।’ এপ্রিল মাসে ১১টির মধ্যে একটি রুট পাকিস্তানে খুলেছিল বটে, তবে এই সিদ্ধান্ত ভারতের জন্য একটি সুখবর।