রবীন্দ্রনাথের গানের অনন্য শিল্পীঃ জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র

“আশেপাশে মানুষের চিত্ত কিংবা বিত্তশূন্যতায়

সে ভাবে মনের আর জীবিকার জীবনের

স্বর্ণযুগ এল বুঝি সকলের ঘরে সচ্ছলতা অবকাশ

ঊষার আলোয় পাহাড়ে শিখরে নদীতে সন্ধ্যায়

রবীন্দ্রসংগীতের পূর্ণ আনন্দ নির্ঝরে”

আত্মভোলা শিল্পী, বন্ধু জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্রকে এভাবেই শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন কবি বিষ্ণু দে।

১৯১১ সালের ১৮ নভেম্বর শ্রীরামপুরে মামাবাড়ি গোস্বামী রাজবাড়িতে জন্ম জ্যোতিরিন্দ্রনাথ মৈত্রের। পিতা যোগেন্দ্রনাথ মৈত্র ও মা সরলাবালা দেবীর সেজো ছেলে জ্যোতিরিন্দ্র ছিলেন সকলের ‘বটুকদা’। সত্যজিৎ রায়ের বটুকদা, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের বটুকদা আবার কমলা গার্লস স্কুলের ছাত্রী ও দিদিমণিদেরও বটুকদা। পাঠভবন স্কুলের ছোটরা অবশ্য তাঁকে ডাকত 'বটুকদা মিস'। হ্যাঁ এমন নামে তাঁকেই ডাকা যেত। তিনি যে সকলের প্রাণের মানুষ। সবার কাছের জন।

শ্রীরামপুর থেকে মাত্র দু মাস বয়সে তাঁকে নিয়ে আসা হয় পদ্মাতীরে তাঁদের প্রাসাদোপম বাড়ি ‘শিতলাই হাউসে’। সেখানেই কেটেছে জ্যোতিরিন্দ্রের শৈশব। তাঁর বাবা যোগেন্দ্রনাথের গান বাজনার শখ ছিল। বাড়িতে ছিল তানপুরা, হারমোনিয়াম, সেতার, এসরাজ, খোল, তবলা ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসতেন ওস্তাদরা, থাকতেন, গাইতেন সেখানে। ছোট বয়েস থেকে তাই নানান সুরে নিজের জীবনবীণার তার বেঁধে নেবার সুযোগ জ্যোতিরিন্দ্রের হয়েছিল। তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। জ্যোতিরিন্দ্রও তাঁকে দেখেছিলেন। এক স্মৃতিকথায় তাঁর দাদা জানিয়েছিলেন, তাঁদের সব ভাইবোনদের মধ্যে বটুকের গানবাজনার ঝোঁক ছিল। সম্পর্কিত কাকা হরিচরণ চক্রবর্তীর কাছে তাঁর সংগীতশিক্ষার শুরু।

পাবনা জেলা স্কুলে ক্লাস সিক্স পর্যন্ত পড়ে জ্যোতিরিন্দ্র চলে আসেন কলকাতায়। ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশন (সাউথ) থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে আই এসসি পাশ করেন। বিএসসি পড়ার সময়ই তিনি চলে গেলেন পাবনায়, সেখানে এডওয়ার্ড কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করে ফিরে এলেন কলকাতায়। এবার বিএ ও এমএ পড়লেন ইংরেজিতে। ১৯৩২ সালে ইংরেজিতে এমএ পড়ার সময়ই কবি বিষ্ণু দে-র সঙ্গে তাঁর যে বন্ধুত্বের সূত্রপাত হয়েছিল, সারা জীবন ধরে তা অক্ষুণ্ণ ছিল।

এমএ পড়ার সময়ে বামপন্থী রাজনীতি তাঁকে আকৃষ্ট করে। গভীরভাবে যুক্ত হয়েছিলেন গণনাট্য সংঘের সঙ্গে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গান ছিল তাঁর আশৈশবের সঙ্গী। ছোট থেকেই তিনি রবীন্দ্রসংগীতের আবহাওয়ায় বড় হয়ে উঠেছিলেন আর সে গান তিনি শিখেছিলেন ঠাকুরবাড়ির অনেক গুণীজনের কাছে। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সরলা দেবী ও ইন্দিরা দেবী চৌধুরানীর কাছে তাঁর রবীন্দ্রনাথের গানে দীক্ষা। শিখেছিলেন শৈলজারঞ্জন মজুমদার ও শান্তিদেব ঘোষের কাছেও। উত্তর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নিয়েছিলেন ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। বিষ্ণু দের সাহচর্যে পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গেও তিনি পরিচিত হয়েছিলেন। ফুটবল খেলার প্রতিও তাঁর ছিল তীব্র আকর্ষণ। খেলতেন রাইট ইনে। ভালো স্কোরার বলে কলেজে নামডাক ছিল।

কিন্তু মন কেড়েছিল সুর। খেলার মাঠ থেকে ফেরার পথে একটি বাড়ি পড়ত, যেখানে ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায় আসতেন, গান গাইতেন, আর খোলা জানালার নীচে সেই সুরে মগ্ন হতেন জ্যোতিরিন্দ্র। তাঁর ভাষায়, "সে সুর আমার সমস্ত চৈতন্যকে আচ্ছন্ন করে তোলে, নেশা লাগে"। সুরের নেশাতেই আজীবন মেতেছিলেন জ্যোতিরিন্দ্র। রবীন্দ্রনাথের গানে, কথায় আর সুরের নিবিড় মিলনে তিনি ছিলেন চিরমুগ্ধ। রবীন্দ্রনাথের গান তাঁর গায়নে পেত অন্য মাত্রা। পেলবতা বর্জিত দৃপ্ত কন্ঠে রবীন্দ্রসংগীতকে যেন নতুন করে শ্রোতার কাছে তুলে ধরেছিলেন তিনি। জ্যোতিভূষণ চাকীর স্মৃতিকথায় আছে কলেজ সোশ্যালে জ্যোতিরিন্দ্র এমন ভাবে গেয়েছিলেন ‘স্বপ্নে আমার মনে হল কখন ঘা দিলে আমার দ্বারে হায়’ যে ‘ঘা’ যেন হৃদয়ে এসে লেগেছিল।অমন রোমাঞ্চকর 'ঘা দিলে' আগে কখনও শুনিনি।”

জ্যোতিরিন্দ্র গান গাইতেন অন্তরের গভীরতম প্রদেশ থেকে। তাঁর কন্ঠে যারা ‘যে আমি ওই ভেসে চলে’ অথবা ‘জগতে আনন্দযজ্ঞে’ শুনেছে তাঁরা অনুভব করেছে কোন উদ্দীপনা জড়িয়ে থাকত তাঁর গানে। অথচ তাঁর একটিমাত্র রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। যার এক পিঠে ছিল ‘এ ভারতে রাখো নিত্য প্রভু’ আর অন্য পিঠে ‘জগতে আনন্দযজ্ঞে’। অবশ্য এতে বিস্ময়ের কিছু নেই। তিনি তো গানে গানে ‘প্রাণের কান্নাহাসি’ গেয়ে বেড়াতেই আগ্রহী ছিলেন।

জ্যোতিরিন্দ্র শুধু গান গাইতেন তা নয়, তিনি গান শেখাতেনও। 'গীতবিতান সংগীত শিক্ষায়তনে' তিনি শেখাতেন রবীন্দ্রসংগীত। কীভাবে গান শেখাতেন তিনি? একটি গানের সঠিক সুর- তাল- লয় বিষয়ে ব্যাখ্যা করাতেই তাঁর কাজ শেষ হত না। শেখানো গানটি নিয়ে চলত আলোচনা- স্তরে স্তরে। রবীন্দ্রনাথের গানের যে দ্বার সহজে খোলা যায় না, থাকে রুদ্ধ, সেই রুদ্ধ দ্বার খোলার চাবি ছিল তাঁর কাছে। ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি রবীন্দ্রনাথের গানের মর্মার্থ উন্মোচিত করতেন।

আনন্দময় মানুষটির গান শেখানোতেও ছিল আনন্দ। তিনি যে সুরকে চিনেছিলেন প্রকৃতি থেকে। প্রায়ই বলতেন তিনি পাখির ডাক থেকেই গানের উৎপত্তি। কোথাও পাখি ডাকলে তিনি সব কাজ ফেলে সে সুর শুনতেন। মনে পড়ে যাবে ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবিতে পাহাড়ী সান্যাল অভিনীত সহজ, সরল, প্রাণবন্ত, সংগীতপিপাসু, সংবেদনময় চরিত্রটির কথা। জ্যোতিরিন্দ্রের ছায়াতেই তার সৃষ্টি। তাঁর মৃত্যুর পর স্মৃতিচারণায় সে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়।

জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্রের জীবনে রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে সমান্তরালে ছিল গণনাট্যের গান।১৯৪৩ সালে লেখা হয় তাঁর বিখ্যাত ‘এসো মুক্ত করো, মুক্ত করো অন্ধকারের এই দ্বার’। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৪ তিনি ছিলেন বোকারোতে- ডি ভি সি স্কুলের শিক্ষক হয়ে। সেখানের প্রকৃতি- ছোট ছোট পাহাড়, অরণ্যে মুগ্ধ শিল্পী লিখলেন- ‘এখনি এখানে এক অরণ্য-সন্ধ্যা নামবে/দেখে নিও পাহাড়ে পাহাড়ে।’

 ১৯৫৫ তে দিল্লির ভারতীয় কলাকেন্দ্রের সংগীত অধ্যক্ষ হয়ে পাড়ি দিলেন রাজধানীতে। দিল্লির রুক্ষতাতেও লিখতেন কবিতা, শেখাতেন রবীন্দ্রসংগীত। তুলসীদাসের রামচরিতমানসে সুর দিয়ে তৈরি করেছিলেন 'রামলীলা'। ষাটের দশকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থানুকূল্যে স্থাপিত দিল্লির বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনায় স্থাপিত বঙ্গভারতী সংগীত কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হলেন তিনি।

এর কিছুদিন আগে তিনি করিয়েছিলেন "চন্ডালিকা" নৃত্যনাট্যের অংশবিশেষ। দিল্লি আকাশবাণী থেকে রবীন্দ্রসংগীত ও কবিতায় তিনি করিয়েছিলেন "বর্ষামঙ্গল"। রবীন্দ্রশতবর্ষে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সর্বভারতীয় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে "বাংলা গানের ঐতিহ্যে রবীন্দ্রসংগীত" বিষয়ে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করিয়েছিলেন জ্যোতিরিন্দ্র। সে ছিল এক ‘ল্যান্ডমার্ক’ অনুষ্ঠান। ১৯৬৮ সালে জলপাইগুড়ির বন্যাদুর্গত মানুষদের অর্থ ও বস্ত্রের জন্য মিছিলে তিনি ছিলেন সবার আগে। যে মিছিলে ছিলেন ত্রিগুণা সেন, পদ্মজা নাইডু, বিনয় রায় সহ আরও অনেকে। সাইকেলের ওপর হারমোনিয়াম রেখে বাজাতে বাজাতে একের পর এক গান গেয়েছিলেন জ্যোতিরিন্দ্র। সে সময়েই লিখেছিলেন প্লাবনের গান।

অচেনা মানুষকেও আপন করার অসীম ক্ষমতা ছিল তাঁর। আর ছিল সব ধরণের গানের প্রতি, সুরের প্রতি ভালোবাসা- গভীর টান। যে টানে তিনি অনায়াসে মিলিয়ে দিতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ থেকে কীর্তন থেকে বাখ, মোজার্ট, বিটোফেন- সব। তাঁর উপলব্ধি ছিল “সমগ্র বিশ্বের মাঝে একান্ত সে সহস্রের গীত/ সূর্য বর্ণে কেঁপে কেঁপে হয়ে গেছে রবীন্দ্র-সংগীত।”

সেই সহস্রে মিলেমিশে একাকার পাঁচালি, কীর্তন, টপ্পা, কবিগান, দেশাত্মচেতনা, শ্যামল বনানী, পুঞ্জীভূত মেঘ, নীল নীল পাহাড়ের সারি, শ্রাবণ শর্বরী, প্রেমের ভুবন- সব কিছু বোধের অতলে। এই মানুষটির হাতেই যে সত্যজিৎ রায় তুলে দেবেন ‘রবীন্দ্রনাথ’ তথ্যচিত্রের সংগীত পরিচালকের দায়িত্ব, ঋত্বিক ঘটক ডাকবেন ‘কোমল গান্ধার’ আর ‘মেঘে ঢাকা তারা’র সংগীতের ভার নিতে সেটাই স্বাভাবিক।

দর্শকস্মৃতিতে চিরদিন থাকবে ‘রবীন্দ্রনাথ’ তথ্যচিত্রের ‘তবু মনে রেখো’ গানের ব্যবহার। ‘কোমল গান্ধার’ ছবির ‘আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে’ আর ‘মেঘে ঢাকা তারা’য় শাস্ত্রীয় সংগীতের ব্যবহার। ‘যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙল ঝড়ে’র ওই অনবদ্য প্রয়োগ। রবীন্দ্রনাথের গান কী আর কীভাবে তা গাইতে হবে, কোথায় সে হবে বাঁচার হাতিয়ার দেখিয়ে দিয়েছিলেন জ্যোতিরিন্দ্র।

ইসমাইল মার্চেন্ট আর জেমস আইভরির ছবি ‘দ্য হাউসহোলডার’-এ তিনিই সংগীতের দায়িত্বে ছিলেন।সুর দিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথের ‘লম্বকর্ণ পালা’ ও বনফুলের ‘কবয়ঃ’-তে। দিল্লি ও কলকাতাতে অভিনয় হয়েছিল।

১৯৭৩ -এ বিষ্ণু দে’র জ্ঞানপীঠ পুরস্কারের অনুষ্ঠানে তাঁর কবিতায় সুর দিয়ে গান গেয়েছিলেন তিনি। সুর তাঁর হৃদয়ের এত গভীরে বাসা বেঁধেছিল যে, যে কোনও বিষয়ে তিনি অনায়াসে সুর দিতে পারতেন। এমনকি বিশ্বভারতী পত্রিকাতেও। ১৯৭৩-এ সহধর্মিণী ঊর্মিলা দেবীর আকস্মিক মৃত্যু তাঁর দিল্লিবাসে সমাপ্তিরেখা টানল। আবার কলকাতা। কমলা গার্লস আর পাঠভবন স্কুলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সঞ্চারিত করলেন আনন্দধ্বনি। যুক্ত ছিলেন গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের "সুশিক্ষণ বিদ্যালয়" আর "ইন্দিরা" সংস্থার সঙ্গেও। রবীন্দ্রনাথের সুরে ভরিয়ে তুলেছিলেন শিক্ষালয়ের নীরস প্রাঙ্গণ। এমন তো নয় যে এই সব স্কুলগুলিতে রবীন্দ্রসংগীত কখনও গাওয়া হয়নি। আসলে জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র যখন রবীন্দ্রনাথের গান গাইতেন, তখন যেভাবে তিনি রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কার করতেন, তাঁর সঙ্গে ছোটদের পরিচয় করাতেন তা ছিল অভিনব। এমনটি আগে কখনও হয়নি।

পান্ডিত্য আর সরসতার আশ্চর্য মেলবন্ধন ঘটেছিল তাঁর মধ্যে। অল্পবয়সে মিটিং মিছিলে তিনি মুক্তকন্ঠে গাইতেন ‘এবার তোর মরা গাঙে’, ‘দেশ দেশ নন্দিত করি’, ‘মরুবিজয়ের কেতন উড়াও’, ‘বাঁধ ভেঙে দাও’, ‘দারুণ অগ্নিবাণে রে’ ইত্যাদি নানা গান। দাপটের গায়কীতে শ্রোতারাও উদ্দীপিত হত।

মালকোষের মতোই রবীন্দ্রগানকেও তিনি জনতার দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন। রবীন্দ্রসংগীতের গায়কী চিরদিন এক থাকতে পারে না এ তাঁর অজানা ছিল না। তিনি বিশ্বাস করতেন রবীন্দ্রসংগীতের অন্তরে প্রবেশ করতে গেলে সাহিত্যবোধ জরুরী। রবীন্দ্রসাহিত্য পড়তে হবে, বারবার। তবেই তো রবীন্দ্রগানের অন্তরে প্রবেশাধিকার পাওয়া যাবে। যেমনটি হত তাঁর গানে।

তিনি যখন ‘তাসের দেশ’র রাজপুত্র হয়ে গাইতেন ‘ভিখারী মন ফিরবে যখন, ফিরবে রাজার মতো’ তখন দর্শক- শ্রোতা যেন রাজকন্ঠের স্পর্শ পেত। সে গান জীবনের প্রান্তে এসেও ভুলতে পারেননি কমলা গার্লস স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষিকা গীতা সেন।

রাজাই ছিলেন তিনি। চলেও গেলেন রাজারই মতো। হায়দ্রাবাদ থেকে কলকাতা ফেরার ট্রেনের উচ্চতম বার্থে শুয়ে ‘মারের সাগর’ পাড়ি দিতে তরী ভাসিয়ে দিলেন তিনি। সকলকে ভালোবেসে, সুরের বাঁধনে বেঁধে কালের ঢেউয়ে আকাশতলে ভেসে গেলেন এক উদাসী শিল্পী। অবসান হল রবীন্দ্রনাথের গানের এক প্রাণবন্ত গায়কীর। দিনটি ছিল ২৫ অক্টোবর ১৯৭৭।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...